দোকান মালিকদের দ্বন্দ্ব, সভাপতি হেলালকে একাংশের বহিষ্কার
বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে সভাপতি ও সিনিয়র সহ-সভাপতির দ্বন্দ্ব এখন তুঙ্গে। আলাদা আলাদা বিশেষ সভা ডেকে একে অপরকে বহিষ্কার করেছে দুই পক্ষ।
সংগঠনটির সিনিয়র সহ-সভাপতি তৌফিক এহেসানের নেতৃত্বে বিশেষ সভা ডেকে সভাপতি হেলাল উদ্দিন হেলালের সমস্ত সাংগঠনিক কার্যক্রম অবৈধ ঘোষণা করে তাকে বয়কটসহ বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
অপরদিকে সাংগঠনিক নিয়ম লঙ্ঘন ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির দায়ে তৌফিক এহেসানসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছেন সভাপতি।
রোববার (১৮ অক্টোবর) গণমাধ্যমে পাঠানো সংগঠনটির সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সাংগঠনিক সম্পাদক (ঢাকা বিভাগ) আরিফুর রহমান টিপু স্বাক্ষর করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সদস্যদের নিয়ে নির্বাচনী প্রস্তুতির জন্য সাংগঠনিক ও বিবিধ বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি তৌফিক এহেসান। সভা পরিচালনা করেন সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফুর রহমান টিপু।
‘বিশেষ সভায় সংগঠনের সভাপতি হেলাল উদ্দিনের সমস্ত সাংগঠনিক কার্যক্রম অবৈধ ঘোষণা করে তাকে বয়কটসহ বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এছাড়া আবুল কাশেম খাঁন ঝন্টুকে আহ্বায়ক ও এস এম সাইদ সুফিকে সদস্যসচিব করে নির্বাচন প্রস্তুতি কমিটি গঠন করা হয়। পাশাপাশি বিভিন্ন জেলায় প্রকৃত ভোটার সংগ্রহ ও নির্বাচনী প্রচারণা কমিটি গঠনসহ ভোটার ফরম বিতরণ সংগ্রহ কমিটি গঠন করা হয়।’
এ বিষয়ে সংগঠনের সভাপতি হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সংগঠনিক নিয়ম অনুযায়ী তাদের এ সভা করার এখতিয়ার নেই। তারা সাংগঠনিক বিধি লঙ্ঘন করেছেন।’
তিনি বলেন, ‘আমরা গতকাল সারাদেশ থেকে আসা কমিটির সদস্যদের নিয়ে বিশেষ সভা করেছি। সভায় সদস্যদের সর্বসম্মতিক্রমে বেশকিছু সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আজকে তৌফিক এহেসানসহ সংগঠনের শৃঙ্খলা ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রথমে চিঠি দিয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হবে। যথাযথ উত্তর না দিতে পারলে তাদের বহিষ্কার করা হবে।’