বকেয়া ১৫০ কোটি, মাঠে কঠোর ডিএনসিসি
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) এলাকায় হোল্ডিং ট্যাক্স পরিশোধ করেছেন প্রায় ২ লাখ ৪০ হাজার ভবন মালিক। এসব ভবন মালিকদের থেকে সংস্থাটির প্রতি বছর গড়ে আয় হয় প্রায় সাড়ে ৪০০ কোটি টাকা। কিন্তু সর্বশেষ আর্থিক বছরে প্রায় ১৫০ কোটি টাকা বকেয়া পড়ে আছে সংস্থাটির। এ অবস্থায় রাজস্ব আদায়ে শক্ত অবস্থানে মাঠে নেমেছে ডিএনসিসি।
যার ফলে রাজস্ব আদায় বৃদ্ধির লক্ষ্যে গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে ডিএনসিসির জোন-৫ (কাওরানবাজার) ও জোন-২ (মিরপুর) এ চিরুনি অভিযান শুরু হয়। অভিযানে এ ওই দুই অঞ্চলে মোট ১০ হাজার ৩৯৯টি হোল্ডিং পরিদর্শন করা হয় সংস্থাটির পক্ষ থেকে। এসময় তারা হোল্ডিং ট্যাক্স অ্যাসেসমেন্ট বিহীন পেয়েছে ৭৩৪টি, আর সম্প্রসারিত হোল্ডিং পেয়েছে ১ হাজার ৬৬৪টি।
অন্যদিকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের বছরে ২ কোটি টাকা আয় হতো না সাইনবোর্ড, বিলবোর্ড, শপ সাইন, ব্যানার, ফেস্টুন থেকে। এই আয় বাড়ানোর জন্য সম্প্রতি গুলশান, বনানী, প্রগতিসরণি সহ আশে পাশের এলাকায় এ অভিযান পরিচালিত হয়।সেই অভিযান শুরু হওয়ার পর ৫ কর্ম দিবসেই সংস্থাটির আয় হয়েছে ৩ কোটি টাকা।
ডিএনসিসির চলমান অভিযান দেখে অন্যান্য সকল ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান তাদের অবৈধ সাইনবোর্ড, বিলবোর্ড, ব্যানার, ফেস্টুন বৈধ করতে উদ্ভুদ্ধ হয়। যার ফলে ৫ কর্মদিবসে তাদের বিলবোর্ড, সাইনবোর্ড, ব্যানার, শপ সাইন বৈধ করতে শুরু হয় পে অর্ডার জমার কার্যক্রম। সিটি করপোরেশন আইন অনুযায়ী প্রতি বর্গফুট সাইনবোর্ডের জন্য ট্যাক্স ১০০ টাকা, আর আলোকিত হলে ১৫০ টাকা।এছাড়া অবৈধ বিলবোর্ড-সাইনবোর্ড অপসারণের অভিযানে এ পর্যন্ত প্রায় ১৬০০ এর বেশি অবৈধ বিলবোর্ড, সাইনবোর্ড অপসারণ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, ‘আইন এবং নীতিমালার বাইরে এ শহরে কেউ কিছু করতে পারবেন না। যা কিছুই করেন না কেন, সিটি করপোরেশনের পারমিশন নিতে হবে। সবকিছুরই আইন আছে, নীতিমালা আছে। কিন্তু আমরা দেখছি কেউ কোনও ধরনের আইনকে, নীতিমালাকে তোয়াক্কা না করে যে যার মত সাইনবোর্ড, শপ সাইন, এলইডি সাইন লাগাচ্ছেন। অভিযানের সময় সবাই বলে, আমরা জানি না। কিন্তু আপনি যখন ট্রেড লাইসেন্স নিয়েছেন, সেখানে সাইনবোর্ডের মাপও উল্লেখ করা হয়েছে। ৩ ফুট বাই ৪ ফুট সাইনবোর্ডের অনুমোদন নিয়ে যদি ৩০ ফুট বাই ৪০ ফুট সাইনবোর্ড তৈরি করেন, সেখানে যদি এলইডি লাইট লাগানো হয়, সেটা অবৈধ। এভাবে আইন অমান্য করে ঢাকা শহরে আপনারা ব্যবসা করতে পারবেন না।’