কুকুর ও মানুষকে মুখোমুখি দাঁড় করানোর সুযোগ নেই: রিজওয়ানা
বাংলাদেশ পরিবেশ আইনজীবি সমিতি (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, রাজধানীর বেওয়ারিশ কুকুর স্থানান্তরে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) কার্যক্রম অমানবিক, অবৈজ্ঞানিক ও বেআইনি। বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে দুটি সংগঠন মা’মলা করেছে। আমরা এর ফলাফল দেখার অপেক্ষায় আছি।
বেলার প্রধান নির্বাহী বলেন, বন্ধ্যাত্বকরণের মাধ্যমে কুকুরের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব সিটি করপোরেশনের। টিকা বাণিজ্যের কারণে দায়িত্বে অবহেলার দায় কুকুরের ওপর চাপানো ঠিক না।
রেজওয়ানা বলেন, রাস্তার কুকুরগুলোর দেখাশোনায় প্রচুর পরিমান ছেলে মেয়ে সম্পৃক্ত। সিটি করপোরেশন চাইলে তাদের মাধ্যমে কুকুরকে খাওয়ানো, টিকাদান ও বন্ধ্যাত্বকরণ করাতে পারে। এতে আলাদা লোকবলের প্রয়োজন হবে না। কর্তৃপক্ষ, লোকবল বানানোর পরিবর্তে তাদের শত্রুতে পরিনত করছে।
তিনি বলেন, পৃথিবীর এমন কোন শহর আছে যেখানে কুকুর থাকে না? কুকুরের ভয়ে দিনে রাস্তায় ইদুরের বিচরণ থাকে না, এছাড়াও ছোট ছোট ক্ষতিকারক প্রাণীর আক্রমন থেকে আমাদের বাচিয়ে রাখে। তারা পাহারাদার, বিশ্বাসী ও প্রভূভক্ত হয়।
তিনি আরও বলেন, কোন শহরের স্বাস্থ্য কেমন, তা বোঝা যায়, ঐ শহরের রাস্তার কুকুর দেখে। কুকুর স্থানান্তরে জীববৈচিত্রের ভারসাম্য নষ্ট হবে, শহর ইদুরে ছেয়ে যাবে।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) সাধারণ সম্পাদক শরীফ জামিল বলেন, বন্যপ্রাণী নগরের অংশ, কুকুর, বিড়াল, কাঠবিড়ালি, চড়ুই, কাকসহ বিভিন্ন প্রাণী থাকে, যা বর্জ্য ব্যবস্থাপনা থেকে শুরু করে সকল বিষয়ের উপর প্রভাব রাখে।
বাপা সাধারণ সম্পাদক বলেন, কুকুর স্থানান্তর বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনের ব্যত্যয়। এটা অনাকাঙ্খিত ও অগ্রহণযোগ্য, সংগঠনের পক্ষ থেকে আইনি প্রক্রিয়ায় যাওয়ার আলোচনা চলছে। শহরে কুকুর নিয়ন্ত্রণ ও সংরক্ষণ বিষয়ে জাতিসংঘের গাইডলাইন আছে। বিজ্ঞান ভিত্তিক উপায়ে তা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
বৃহস্পতিবার ডিএসসিসির কুকুর স্থানান্তর কার্যক্রমের বিরুদ্ধে অভিনেত্রী জয়া আহসান এবং দুই প্রানী কল্যাণ সংগঠন (অভয়ারণ্য ও পিপলস ফর অ্যানিম্যাল ওয়েলফেয়ার) যৌথভাবে হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করে।