বলিউডের নামি দামি তারকারা কোকেনখোর: যুবরাজ সিং
সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর তদন্ত করছিলো পুলিশ। সেখান থেকে দায়িত্ব আসে সিবিআইয়ের হাতে। পাশাপাশি তদন্ত শুরু করেছে ইডি এবং এনসিবি। বলিউডের ড্রাগ-যোগ নিয়ে নতুন করে মোড় এসেছে এই মৃত্যু মামলায়।
সুশান্তের গার্লফ্রেন্ড রিয়া চক্রবর্তীসহ একাধিক ব্যক্তিকে এনসিবির গ্রেফতারও করেছে মাদকে জড়িত থাকার অভিযোগে। এবার বলিউডের ড্রাগ-যোগ নিয়ে বিস্ফোরক দাবি করলেন অভিনেতা-প্রযোজক ও সুশান্তের ঘনিষ্ঠ বন্ধু যুবরাজ এস সিং। তার দাবি, এই ড্রাগের নেশা রয়েছে বলিউডের প্রথম সারির অনেক নামী অভিনেতাদের।
সম্প্রতি একটি সংবাদসংস্থাকে তিনি বলেছেন, ‘বহুদিন ধরেই ড্রাগ নিয়ে নানা কাণ্ড চলছে। হয়তো ১৯৭০ সাল থেকেই এগুলো হয়ে আসছে। তখন জিনিসগুলো অন্যরকম ছিল। সোশাল মিডিয়া ছিলো না। এত হুট করে সবকিছু সবাই জানতে পারতো না। এখন সবই প্রকাশ্যে চলে আসছে।’
তিনি দাবি করেছেন, বলিউডে একাধিক নামি তারকারা কোকেনখোর। অভিনেতা এবং পরিচালকরে মধ্যে অনেকেই রয়েছেন যারা নিয়মিতই ড্রাগ নেন এবং প্রকাশ্যেই ঘুরে বেড়ান। তবে অভিনেতা অক্ষয় কুমার এ সব থেকে দূরে থাকেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
‘বেইমান লাভ’ ছবির অভিনেতা এ নিয়ে নিজের অভিজ্ঞতাও শেয়ার করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘গাঁজা তো সিগারেটের মতো। ক্যামেরাপার্স থেকে টেকনিশিয়ান, সেটের মধ্যেই গাঁজা খান সবাই। বলিউডের পার্টিগুলোতে সবচেয়ে বেশি নেওয়া হয় কোকেন। বলিউডের প্রধান ড্রাগই হল কোকেন। তার পর রয়েছে MDMA, এক্সট্যাসি, LSD-ও বলা হয় এগুলোকে। অ্যাসিডও বলে অনেকে। রয়েছে কেটামাইন। ঘোড়াকে বসে আনার ওষুধ।
যুবরাজ বলেন, ‘অনেকেই এগুলো গ্রহণ করে এগুলো খুবই কড়া ড্রাগ। প্রায় ১৫ থেকে ২০ ঘণ্টা নেশা হয়ে থাকে এগুলো একবার শরীরে নিলে। কোকেনও খুবই কড়া ড্রাগ। আমি বলব যে ইন্ডাস্ট্রির ৫-১০ জন অভিনেতার দ্রুত এই নেশা থেকে বেরিয়ে আসা উচিত। নয়তো এরা মরে যাবে সবাই।
অনেক বার আমাকেও ড্রাগ নেয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। এটা খুবই স্বাভাবিক। এভাবেই এখানে কাজ চলে। ড্রাগ নিয়ে পার্টিতে যান অনেকে। এভাবেই চলে এখানে। অনেকে এ কারণে কাজ পান। আপনি যদি সঠিক পরিচালক, অভিনেতা-অভিনেত্রীদের সঙ্গে ড্রাগ নেন, তাহলে আপনি ধরে নিতে পারেন যে সঠিক লবিংয়ে রয়েছেন। এভাবেই একটা নিজস্ব গণ্ডি তৈরি করে কাজ হয় এখানে।’
ঢালাওভাবে বলিউডের তারকাদের বিরুদ্ধে মাদক নেয়ার কথা বলে গেলেও কারো নাম নেনতি অভিনতো যুবরাজ। অভিনেতার ভাষ্য, ‘বছরের পর বছর এরা একই গণ্ডির মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে। এবং একে অপরের সঙ্গে কাজ করছে।’