ধর্ষণে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চায় মহিলা পরিষদ
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় সাবেক স্বামীর অ্যাসিড নিক্ষেপে মা ও মেয়ে দগ্ধ এবং বরিশাল-ঢাকা রুটের এমভি পারাবত-১১ লঞ্চে অজ্ঞাতপরিচয় এক নারীকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ। এসব ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার, যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেয়াসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে তারা।
মঙ্গলবার (১৫ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ দাবি জানায় বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ।
এতে বলা হয়, কুষ্টিয়া জেলার ভেড়ামারা উপজেলার গোলাপনগর গ্রামে সাবেক স্বামীর অ্যাসিড নিক্ষেপে মা ও মেয়ে দগ্ধ হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। জানা গেছে যে, দুই বছর আগে ভেড়ামারা উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামের মোক্তার আলীর ছেলে রিন্টু আলীর সঙ্গে নির্যাতনের শিকার নারীর বিয়ে হয়। তাদের বনিবনা না হওয়ায় এক বছর আগে পারিবারিকভাবে বিচ্ছেদ হয়। এরপর থেকে রিন্টু বিভিন্ন সময় ওই নারীকে উত্ত্যক্ত করতেন।
গত রোববার রিন্টু আলী সাবেক স্ত্রীকে জোর করে তুলে নেয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় নির্যাতনের শিকার নারীর মা বাধা দিলে রিন্টু রাসায়নিক জাতীয় দাহ্য পর্দাথ তাদের দিকে ছুড়ে মারেন। তাদের চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটি এসে উদ্ধার করে ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় ভেড়ামারা থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, বরিশাল-ঢাকা রুটের এমভি পারাবত-১১ লঞ্চে অজ্ঞাতপরিচয় এক নারীকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। গত রোববার (১৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর সদরঘাট থেকে লঞ্চের রেজিস্টারে কামরুল নামের ব্যক্তি ওই নারীকে নিয়ে লঞ্চের তৃতীয় তলার ৩৯১ নম্বর সিঙ্গল কেবিনে ওঠেন। সোমবার লঞ্চটির তৃতীয় তলার একটি কেবিন থেকে থেকে মধ্যবয়সী অজ্ঞাতপরিচয় এক নারীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
‘এ অবস্থায় বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ মা ও মেয়ে অ্যাসিডে দগ্ধ এবং অজ্ঞাতপরিচয় নারীকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার, তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তসহ জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছে। হত্যার শিকার নারীর পরিচয় উদঘাটনপূর্বক তার লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তরের অনুরোধ জানাচ্ছে।’