ছাত্রদলের পদ পেতে বিবাহিতদের আমরণ অনশন
জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে পদ পেতে আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করছেন সদ্য বিদায়ী কমিটির অর্ধশতাধিক বিবাহিত নেতাকর্মী। তাদের দাবি, ছাত্রদলের রাজনীতি করার সব যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও রাজপথের ত্যাগী, নির্যাতিত ও পরীক্ষিত নেতাকর্মীদের শুধুমাত্র ‘বিবাহিত’ এই অজুহাতে সংগঠনের আসন্ন পূর্ণাঙ্গ কমিটি থেকে বাদ দেওয়ার চক্রান্ত হচ্ছে।
বুধবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের প্রবেশ মুখে তারা অনশন কর্মসূচি শুরু করেন। আমরণ অনশন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারী ছাত্রদলের নেতারা বলেন,ছাত্রদলের সাংগঠনিক অভিভাবক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনা ছিল,ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কাউন্সিলে বিবাহিত কেউ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হতে পারবেন না। তার নির্দেশ মেনে আমরা কাউন্সিলে সহযোগিতা করি। কিন্তু এখন বলা হচ্ছে বিবাহিতদের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতেও রাখা হবে না। গত কয়েকদিনে ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন ও সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেনের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক করেছি। তারা আমাদের বলে দিয়েছেন, পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে বিবাহিতদের রাখা হবে না। ‘আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চলবে। শুধু ‘বিবাহিত’ এই অভিযোগে কমিটিতে আমাদের রাখা হচ্ছে না। তাহলে এখন আমরা কোথায় যাবো। আর ছাত্রদলের গঠনতন্ত্রে কোথাও লেখা নেই যে বিবাহিতরা সংগঠন করতে পারবেন না।
একাধিক নেতা বলেন,ছাত্রদলের নেতা হওয়ার ক্ষেত্রে ৩৫ বছর বয়সসীমা বেধেঁ দেয়া হয়েছে। তার মানে ছাত্রদল করতে হলে ৩৫ বছর পর্যন্ত বিয়ে করা যাবে না। তাহলে কি এই ৩৫ বছর একজন ছাত্রদল কর্মীকে বিয়ে না করে কৃচ্ছতা সাধন করতে হবে অথবা অবৈধ যৌনচার করতে হবে। এই যৌনাচারের পাপ কি শীর্ষ নেতারা বহন করবেন?