আবারও সীমান্তে হত্যা বন্ধের আশ্বাস বিএসএফের
সীমান্তে মাঝেমধ্যেই বাংলাদেশি নাগরিকদের গুলি করে মারছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। পতাকা বৈঠকে বিএসএফের এমন কর্মকাণ্ডের বরাবরই প্রতিবাদ জানাচ্ছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
বুধবার (৯ সেপ্টেম্বর) সেক্টর কমান্ডার পর্যায়ের সৌজন্য বৈঠকে সীমান্ত হত্যা বন্ধে বিএসএফকে অনুরোধ জানায় বিজিবি। স্বভাবসূলত এবারও সীমান্ত হত্যা বন্ধের আশ্বাস দিয়েছে বিএসএফ।
বুধবার বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত বিজিবির সোনা মসজিদ বিওপি সম্মেলন কেন্দ্রে ওই সৌজন্য বৈঠক অুনষ্ঠিত হয়। এতে বিজিবি প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে দেন বিজিবির রাজশাহী সেক্টর কমান্ডার কর্নেল তুহিন মোহাম্মদ মাসুদ। এতে অংশ নেন বিজিবির নওগাঁ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রহনপুর ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক, রাজশাহী বিজিবির ভারপ্রাপ্ত অতিরিক্ত পরিচালক (অপারেশন), রাজশাহী বিজিবির সহকারী পরিচালকসহ রাজশাহী সেক্টরের শীর্ষ কর্মকর্তারা।
অন্যদিকে বিএসএফ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন বিএসএফ মালদা সেক্টরের ডিআইজি সঞ্জয় গৌর। এতে বিএসএফের ২৪, ৪৪, ৭৮ ও ১৫৯ ব্যাটালিয়নের কমান্ড্যান্ট এবং কোম্পানি কমান্ডার অংশ নেন।
রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিজিবি জানায়, সীমান্তে নিরীহ বাংলাদেশি নাগরিকদের ওপর গুলিবর্ষণ না করার জন্য সেক্টর কমান্ডার বিএসএফ কমান্ডারের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন। এটি বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন বিএসএফ সেক্টর কমান্ডার।
সীমান্ত হত্যা-নির্যাতন বন্ধ ছাড়াও ওই বৈঠকে মাদকদ্রব্য পাচার প্রতিরোধ এবং অবৈধ সীমান্ত পারাপার বন্ধে আলোচনা হয়। আলোচনা হয়েছে সীমান্ত সংক্রান্ত দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে নিয়েও। বৈঠকে ফলপ্রসু আলোচনা হয়েছে বাংলাদেশ পাশের সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে মহানন্দা নদীর বাঁধ সংরক্ষণ প্রকল্প বাস্তবায়ন নিয়ে।
এছাড়া অবৈধভাবে গবাদিপশুর প্রবেশ রোধ, অবৈধ অস্ত্র-গোলাবারুদ বিস্ফোরক পাচার প্রতিরোধ, নারী, শিশু ও মানবপাচার প্রতিরোধ, অবৈধ সীমান্ত পারাপার বন্ধ, নিচ্ছিদ্র সীমান্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও সমন্বিত টহলসহ সীমান্ত সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে সৌহার্দপূর্ণ পরিবেশে অত্যন্ত ফলপ্রসু আলোচনা হয়।
বৈঠকে সীমান্তে বিরাজমান শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান বজায় রাখাতে উভয় পক্ষ সম্মত হয়। এছাড়াও বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত চুক্তির আলোকে উদ্ভূত যে কোনো সমস্যা আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে যে কোনো সময় ব্যাটালিয়ন অথবা কোম্পানি অথবা বিওপি কমান্ডার পর্যায়ে যোগাযোগ ও পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে সমাধানে ঐক্যমতে পৌঁছায় দুই পক্ষ।