তাদের ছিল অন্য নেশা
সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর মাদকচক্র নিয়ে তোলপাড় চলছে বলিউডে। সুশান্তের মৃত্যুর পর তদন্তে নেমে বলিউডে মাদকের সঙ্গে অনেক নামিদামি ও প্রভাবশালী তারকার যোগসূত্র পাওয়া গেছে। যদিও তারকাদের ড্রাগ নেয়ার বিষয়টি নতুন নয়। তবে অভিনয়ের বাইরে নেশায় নাম লিখিয়ে অনেক তারকাই শ্রীঘরেও গিয়েছেন। কেউ কেউ তো ঢাকঢোল পিটিয়েই মাদক গ্রহণের কথা স্বীকার করেছেন। চলুন, একনজরে দেখে নেয়া যাক বলিউডের কোন তারকা কতটা মাদকাসক্ত-
সঞ্জয় দত্ত: বি-টাউনের প্রভাবশালী অভিনেতা সঞ্জয় দত্ত নিজ মুখেই স্বীকার করেছিলেন মাদকে জড়িয়ে পড়ার কথা। এই মাদকই নাকি তার ক্যারিয়ারে ধস নামার পেছনে বড় কারণ।
মীনা কুমারী: কিংবদন্তি অভিনেত্রী মীনা কুমারী বিচ্ছেদের পর অবসাদগ্রস্ত হয়ে মাদকে জড়ান। সেই বাজে অভ্যাসের কু-প্রভাব পড়েছিল তার অভিনয়েও। একসময় জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকা এই অভিনেত্রীর জীবনগাড়ি থেমে গিয়েছিল মাত্র ৩৯ বছর বয়সেই। প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে বিচ্ছেদ ভুলতে আকণ্ঠ মদ্যপানে ডুবে থাকতেন তিনি।
রণবীর কাপুর: স্কুলজীবন থেকেই মাদক সেবনের হাতেখড়ি হয় রণবীরের। সম্প্রতি অভিনেত্রী কঙ্গনা রানওয়াত তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন। বলিউডের এই সেনসেটিভ অভিনেতাকে নাকি মাদকাসক্ত হয়ে রিহ্যাবেও যেতে হয়েছিল। রণবীর নিজেও একবার স্বীকার করেছিলেন, গাঁজার নেশায় তিনি আসক্ত।
পারভীন ববি: বলিউডের গ্ল্যামারাস অভিনেতা পারভীন ববি শুধুমাত্র অতিরিক্ত নেশায় ডুবেই অকালে মারা যান। নিজের নিঃসঙ্গতাই তাকে মাদকের দিকে ঠেলে দিয়েছিল।
কপিল শর্মা: অভিনয় ক্যারিয়ারে অনেক উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে তাকে। অবসাদ ভুলতে মাদকের আশ্রয় নেন তিনি। সংবাদমাধ্যমেও অনেকবারই নেশার কারণে খবরের শিরোনাম হয়েছেন কপিল।
গৌরী খান: বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খানের স্ত্রী গৌরীও মাদকাসক্ত ছিলেন। তিন সন্তানের এই জননী সঙ্গে গাঁজা বহনের জন্য একবার জার্মানির বার্লিন বিমানবন্দরে ধরা পড়েছিলেন।
মনীষা কৈরালা: নব্বইয়ের দশকের অন্যতম সফল অভিনেত্রী মণীষা কৈরালা ভয়ঙ্করভাবে মাদকের নেশায় জড়িয়ে পড়েছিলেন। একপর্যায়ে ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার পর তিনি তার সেই অভ্যাস থেকে সরে আসেন।
ফারদিন খান: বলিউডের এই অভিনেতা কোকেন থেকে হেরোইন- এমন কোনও নেশা নেই যার সঙ্গে জড়াননি। মাদক বহনের অভিযোগে হাতে হাতকড়াও উঠেছিল ফারদিন খানের।