অরেগনের সহিংসতা নিয়ে ট্রাম্প-বাইডেনের বাকযুদ্ধ

0

অরেগনে পোর্টল্যান্ডের সহিংসতা নিয়ে পরস্পর বাকযুদ্ধে জড়িয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং তার ডেমোক্রেটিক প্রতিদ্বন্দ্বী জো বাইবেন।

নিজের শহরে ‘মৃত্যু এবং ধ্বংসলীলা’ চালাতে দেয়ার জন্য পোর্টল্যান্ডের ডেমোক্রেটিক মেয়র টেড হোয়েলারকে দায়ী করেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।

তবে বাইডেন বলেছেন, ‘বেপরোয়াভাবে সহিংসতায় উস্কানি দিয়েছেন’ ট্রাম্প।

শনিবার ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার আন্দোলনকারীদের সাথে ট্রাম্পপন্থী একটি মিছিলের কর্মীদের সংঘর্ষ হলে গুলিতে একজন নিহত হযন।

পুলিশের গুলিতে আফ্রিকান-আমেরিকান জর্জ ফ্লুয়েডের মৃত্যুর পর থেকে পুলিশের নিষ্ঠুরতা এবং বর্ণবৈষম্যের প্রতিবাদে বিক্ষোভের অন্যতম প্রধান কেন্দ্র হয়ে উঠেছে পোর্টল্যান্ড। মিনিয়াপোলিসে জর্জ ফ্লুয়েড নিহত হওয়ার ঘটনায় দেশে বিদেশে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়।

সামাজিক মাধ্যমে এ নিয়ে ব্যাপক লেখালেখির পর শহরে পাল্টা জমায়েত করতে না আসার জন্য সতর্ক করে দিয়েছেন মেয়র হোয়েলার।

‘আপনারা যারা আজ সকালে টুইটারে লেখালেখি করছেন যে, আপনারা প্রতিশোধ নিতে পোর্টল্যান্ড আসবেন, আমি আপনাদের আহবান জানাচ্ছি যে, দূরে থাকুন,’ তিনি লিখেছেন।

ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমালোচনার পাল্টা জবাব দিয়ে তিনি বলছেন, ‘মার্কিন প্রেসিডেন্টই বরং বিদ্বেষ আর বিভেদ তৈরি করছেন।’

‘এটা ট্রাম্পের আমেরিকা’
রোববার বেশ কয়েকটি টুইট বার্তায় ট্রাম্প বলেছেন, ‘একজন বোকা মেয়রকে নিয়ে পোর্টল্যান্ড কখনোই সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারবে না।” তিনি শহরে ফেডারেল ফোর্স পাঠানোরও পরামর্শ দিয়েছেন।

বাইডেনকে অভিযুক্ত করে ট্রাম্প বলেছেন, তিনি নেতৃত্ব দিতে অনাগ্রহী।

এরপরে এক বিবৃতিতে জো বাইডেন বলছেন, ‘(ট্রাম্প) হয়তো মনে করেন, আইনশৃঙ্খলা নিয়ে টুইট করলে তার অবস্থান শক্ত হবে- সংঘর্ষ থেকে সমর্থকদের বিরত করতে তার ব্যর্থতাই বলে দেয় যে, তিনি আসলে কতটা দুর্বল।’

পুনরায় নির্বাচিত হওয়ার জন্য ডোনাল্ড ট্রাম্পের অন্যতম প্রধান প্রতিশ্রুতিগুলোর একটি আইনশৃঙ্খলা, যেখানে জো বাইডেনকে তিনি অপরাধের ক্ষেত্রে নমনীয় বলে দেখানোর চেষ্টা করেন।

এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি সেক্রেটারির ভারপ্রাপ্ত প্রধান চ্যাড উলফ বলেছেন, পোর্টল্যান্ডের ডেমোক্র্যাটিক কর্মকর্তারা ‘বেআইনি কর্মকাণ্ড ও বিশৃঙ্খলা’ বরদাস্ত বেড়ে ওঠার সুযোগ দিয়েছেন। তারা বলছেন, সমস্যার সমাধানে সব পদক্ষেপ নিয়েই ভাবা হচ্ছে।

তবে ডেমোক্র্যাটরা পাল্টা জবাব দিয়ে বলেছেন, ট্রাম্পের প্রেসিডেন্সির আওতায় সহিংসতা ঘটছে এবং তার বক্তব্য দিয়ে পরিস্থিতিকে আরো খারাপ করে তুলছেন।

পোর্টল্যান্ডের ওই গুলির ঘটনা তদন্ত করছে পুলিশ। শহরটিতে প্রায় একমাস ধরে বিক্ষোভ চলছে।

পোর্টল্যান্ড পুলিশ একটি বিবৃতি জানিয়েছে, ‘সাউথইস্ট থার্ড অ্যাভিনিউ এবং সাউথইস্ট আলডার স্ট্রিটের দিক থেকে গুলির শব্দ পাওয়া শুনতে পেয়েছেন কর্মকর্তারা। তারা সেখানে গিয়ে বুকে গুলি লাগা একজন ব্যক্তিকে দেখতে পায়।’

অরেগনের স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমে বলা হচ্ছে, লাশের পাশ থেকে ‘ক্যামোফ্লেজ গিয়ার’সহ পুলিশের সমর্থনে ব্যবহৃত হয়, এমন সব জিনিসপত্র পাওয়া গেছে।

আরেকটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে, ওই ব্যক্তির সাথে থাকা একজন ব্যক্তিকে আটক করার চেষ্টা করছে পুলিশ।

তবে মৃত ব্যক্তির পরিচয় প্রকাশ করেনি পুলিশ। শহরে চলা বিক্ষোভের সাথে এই গুলির ঘটনার কোনো যোগসূত্র আছে কিনা, তাও পুলিশ পরিষ্কার করেনি।

সূত্র : বিবিসি

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com