১ সেপ্টেম্বর থেকে শর্তসাপেক্ষে বাসে আগের ভাড়া
আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে শর্তসাপেক্ষে গণপরিবহনে আগের নির্ধারিত ভাড়ায় ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। গতকাল রাজধানীর নিজ বাসভবন থেকে সড়ক ও জনপথ বিভাগের ঢাকা জোনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে এ তথ্য জানান সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
গত মার্চে গণপরিবহন চলাচল বন্ধ ঘোষণা করে সরকার। টানা দুই মাসেরও বেশি সময় বন্ধ থাকার পর গত ১ জুন শর্তসাপেক্ষে বাস চলাচল শুরু হয়। শর্ত দেয়া হয় অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলাচল করবে যানবাহন। এজন্য আন্তঃজেলা বাস পরিষেবাসহ সব বাসের ভাড়া ৬০ শতাংশ বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপনও জারি করা হয়। এরপর অফিস-আদালত সব খুলে দিলে গণপরিবহনে সিট খালি রাখার বিষয়টি না মানার অভিযোগ উঠছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে আগের অবস্থায় ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত এল।
আগের ভাড়ায় ফিরে গেলেও বেশকিছু নিয়মকানুন মানতে হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহনমন্ত্রী। ভিডিও কনফারেন্সে তিনি বলেন, গণপরিবহনের যাত্রী, চালক, সুপারভাইজার, চালকের সহকারী, টিকিট বিক্রয়কারীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে অবশ্যই মাস্ক পরিধান করতে হবে। হাত ধোয়ার জন্য পর্যাপ্ত সাবান-পানি অথবা হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রাখতে হবে। আসনসংখ্যার অতিরিক্ত কোনো যাত্রী পরিবহন করা যাবে না। অর্থাৎ যত সিট তত যাত্রী পরিবহন নীতি কার্যকর হবে। দাঁড়িয়ে যাত্রী পরিবহন করা যাবে না।
নভেল করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে ২৬ মার্চ থেকে ৩১ মে পর্যন্ত দেশে গণপরিবহন বন্ধ ছিল। ১ জুন পুনরায় গণপরিবহন চালুর আগে বাস ভাড়া ৬০ শতাংশ বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার। বর্ধিত ভাড়ার হার শুধু করোনাকালে প্রযোজ্য হওয়ার কথা উল্লেখ করা হয় ওই প্রজ্ঞাপনে। শুরুতে এ নিয়ম মেনে চললেও ঈদুল আজহার পর থেকে বাসভর্তি যাত্রী তোলার অভিযোগ আসতে শুরু করে সারা দেশ থেকে। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষও (বিআরটিএ) ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে অনেক ক্ষেত্রে অভিযোগের সত্যতা পান। এমন অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে ১৯ আগস্ট যত আসন তত যাত্রী তোলার প্রস্তাব দেন বাস মালিকরা। বিপরীতে তারা করোনাভাইরাসের কারণে বর্ধিত ভাড়া কমানোরও প্রস্তাব দেন। এ প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতেই বাস ভাড়া আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।