ডুমুরিয়ার শাহাপুর-মিকশিমিলের রাস্তার বেহাল দশা
ডুমুরিয়া উপজেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা মিকশিমিল-শাহাপুর। সওজ বিভাগের অবহেলা ও বেখেয়ালির জন্য রাস্তাটির এখন বেহাল অবস্থা দেখার কেউ নেই।
স্থানীয়রা জানায়, মিকমিমিল- শাহাপুরের এই রাস্তাটি প্রায় ৪ কিলোমিটার। এর প্রায় ১০ হাত পরপর বড় বড় গর্ত রয়েছে । যেটা বৃষ্টি হলে পানি জমে দূর থেকে দেখলে মনে হবে কোন জলাশয়। আর এই রাস্তাটি মিকশিমিল থেকে শাহাপুর হয়ে খুলনা দৌলতপুরের সাথে ও আরেকদিকে ফুলতলা উপজেলার সাথে যোগাযোগ স্থাপন করেছে। রাস্তার দুই পাশ দিয়ে কয়েকটি স্কুল কলেজ ও মাদ্রাসা রয়েছে। তাছাড়াও দক্ষিণাঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপিঠ বি এল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরাও এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করে। এছাড়াও এখানে রয়েছে অত্র উপজেলার বড় গরু-ছাগলের হাট সহ পাইকারী মাছ বাজার।
যেখানে বাহিরের অনেক এলাকার লোক এখানে মাছও গরু ছাগল বিক্রি করতে আসে। জনগুরুত¦পূর্ণ এই রাস্তাটি বেহাল অবস্থায় থাকলেও কারো কোন মাথাব্যাথা নেই। পরবর্তীতে কথা হয় অত্র এলাকার নজরুল ইসলাম (৭৫) নামের একজন বয়ষ্ক লোকের সাথে তিনি বলেন এই রাস্তাটি আনুমানিক ১০/১২ বছর আগে সর্বশেষ সংস্কার করা হয়। তারপর থেকে আজ পর্যন্ত আর সংস্কার করেনি যে কারনে রাস্তাটির এমন অবস্থা হয়েছে। তাছাড়া এ রাস্তাদিয়ে এই এলাকার ছাত্র-ছাত্রীরা এবং গরু বোঝাই গাড়ী সহ দৌলতপুর-ফুলতলার লোক যাতায়াত করে। এবং রাস্তা খারাপের কারণে প্রায়ই মটর ভ্যান সহ অটো টেম্পুর সাথে দূর্ঘটনা ঘটে। এবং দূর্ঘটনার কারণে অনেক লোকের বড় ধরনের ক্ষতি হয়েছে। তবে তিনি ছাত্র-ছাত্রীদের যাতায়াতের সুবিধার্তে রাস্তাটি দ্রুত মেরামতের জন্য এলাকাবসীর পক্ষ থেকে দাবী জানান। রাস্তাটি সম্বন্ধে উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয়ে খোজ নিলে জানাযায় সর্বশেষ এই রাস্তাটির কাজ করে অত্র অফিস। পরবর্তীতে ডুমুরিয়া থেকে মিকশিমিল ও শাহাপুর হয়ে ফুলতলা উপজেলা পর্যন্ত রাস্তাটি সওজ বিভাগের কাছে হস্তান্তরিত করা হয়, অপরদিকে শাহাপুর থেকে দৌলতপুর রাস্তাটি অত্র উপজেলা প্রকৌশলীর অধীনে আছে। যেকারনে শাহাপুর- মিকশিমিল এর মধ্যবর্তী রাস্তাটুকু অত্র অফিস করতে পারছেনা। এবিষয় নিয়ে কথা বললে নির্বাহী প্রকৌশলী (সওজ) মোঃ আনিচুজ্জামান মাসুদ বলেন আমরা দ্রুতই রাস্তাটির ব্যাপারে কার্যক্রম গ্রহণ করছি এবং আশা করছি এই বর্ষার মৌসুম শেষ হলেই কাজ শুরু করতে পারবো।