সামান্য বৃষ্টিতেই নালায় পরিণত হয় সড়কটি

0

ঢাকার নবাবগঞ্জের বান্দুরা ব্রিজ থেকে শিকারীপাড়া পর্যন্ত সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বিকল্প কোনো সড়ক না থাকায় উপজেলার পশ্চিমাঞ্চলের জনগণকে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে।

উপজেলার চারটি ইউনিয়নসহ পার্শ্ববর্তী মানিকগঞ্জ জেলার সঙ্গে যোগাযোগের জন্য একমাত্র সড়কটির বিভিন্ন স্থানে গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। সামান্য বৃষ্টি হলেই গর্তগুলো পানিতে ছোট নালায় পরিণত হয়।

স্থানীয়রা জানায়, বান্দুরা-শিকারীপাড়া সড়কটি দিয়ে বান্দুরা ইউনিয়নের আংশিক এবং বারুয়াখালী, জয়কৃষ্ণপুর ও শিকারীপাড়া ইউনিয়নের বাসিন্দারা নিয়মিত যাতায়াত করে।

উপজেলার পশ্চিমাঞ্চলের বাসিন্দাদের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি দিয়েই উপজেলা সদরে যেতে হয়। এ ছাড়া ঢাকা থেকে যাতায়াত সহজ হওয়ায় পার্শ্ববর্তী মানিকগঞ্জের লোকজনও সড়কটি ব্যবহার করে। অথচ সর্বশেষ কবে সড়কটি সংস্কার হয়েছিল মনে করতে পারছেন না স্থানীয় বাসিন্দারা।

সোমবার সরেজমিনে দেখা যায়, আগের দিন রবিবার বৃষ্টি হওয়ায় সড়কটির বিভিন্ন গর্তগুলো ছোট ছোট নালায় পরিণত হয়েছে। কোন গর্তের কতটুকু গভীরতা এটা বুঝা যাচ্ছে না। ফলে গাড়িগুলো খুব সাবধানে চলাচল করছে। বিশেষ করে বান্দুরা ব্রিজের ঢালে সৃষ্টি হওয়ায় বড় গর্তের কারণে বিপাকে পড়েছেন গাড়িচালক ও যাত্রীরা। খুব সতর্কতার সঙ্গে গাড়ি চালালেও গত দুই দিনে পাঁচটি দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে জানান স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।

এ ছাড়া আলালপুর হয়ে দাউদপুর দিয়ে শিকারীপাড়া যাওয়ার সড়কটির অবস্থা খুবই খারাপ। সড়কটির বিভিন্ন স্থানে সৃষ্টি হয়েছে ছোটবড় শতাধিক গর্ত।

নূরনগর বাজার সংলগ্ন, মুন্সিনগর মসজিদের সামনে, দাউদপুর বাজার সংলগ্ন, হাগ্রাদি বাজারের সামনে এবং শিকারীপাড়া বাজারে যাওয়ার একটু দূরত্বে সৃষ্টি হওয়া গর্তগুলো খুবই ঝুঁকিপূর্ণ।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা দুই একটা গর্ত মাঝে মাঝে মাটি দিয়ে ভরাট করলেও যানবাহন চলাচলের ফলে আবারও গর্তের সৃষ্টি হয়। অথচ গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন গড়ে অর্ধলক্ষাধিক মানুষ যাতায়াত করে।

বান্দুরা বাজারের ব্যবসায়ী রঞ্জিত বণিক বলেন, সামান্য বৃষ্টি হলেই পানিতে সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। ফলে আমাদের দোকানেও কোনো কাস্টমার আসে না।

ব্যবসায়ী প্রদীপ বণিক বলেন, বান্দুরা ব্রিজের ঢালে সৃষ্ট গর্তে যানবাহন উল্টে প্রায় দুর্ঘটনা ঘটছে। দিন দিন মানুষের দুর্ভোগ বাড়ছে। মানুষের এত ভোগান্তি হলেও যেন দেখার কেউ নেই।

অটোরিকশা চালক রিপন শেখ বলেন, বান্দুরা থেকে শিকারীপাড়া বা বেড়িবাঁধ যেতে মন চায় না। রাস্তাটি এতই খারাপ সব সময় ভয়ে থাকি কখন জানি গাড়ি উল্টে দুর্ঘটনা ঘটে।

একাধিক সিএনজি চালক জানান, জনগুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন হাজারো যানবাহন চলাচল করে। কিন্তু সড়কের বিভিন্ন স্থানে কার্পেটিং উঠে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে।

বান্দুরা ইউপি চেয়ারম্যান হিল্লাল মিয়া বলেন, নবাবগঞ্জের পশ্চিমাঞ্চলের মানুষদের জন্য সড়কটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমি সড়কটি মেরামতের জন্য উপজেলা প্রকৌশলীকে কয়েকবার বলেছি। তারা গুরুত্ব সহকারে দেখলেই কাজটি হয়ে যায়।

এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) তরুণ কুমার বৈদ্য বলেন, আমি রাস্তাটি সম্পর্কে অবগত। দ্রুত সড়কটি মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হবে।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com