প্রতিরোধ অক্ষ-বিরোধী সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কৌশল সম্পর্কে হিজবুল্লাহ-প্রধান

0

লেবাননের হিজবুল্লাহর মহাসচিব সাইয়্যেদ হাসান নাসরুল্লাহ গণমাধ্যমের হামলাকে বর্তমান সময়ে প্রতিরোধ অক্ষের বিরুদ্ধে শত্রুদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কৌশল বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি গতকাল শোকাবহ আশুরার বিষয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এ কথা বলেন।  

২০০৬ সালের যুদ্ধে লেবাননের হিজবুল্লাহর সঙ্গে ৩৩ দিনের যুদ্ধে শোচনীয়ভাবে হেরে যায় ইসরাইল। ইসরাইল ও তার মিত্ররা সেই ব্যর্থতার প্রেক্ষাপটে সিরিয়ায় ইসরাইল-বিরোধী আসাদ সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে সন্ত্রাসী নানা গোষ্ঠী লেলিয়ে দেয় ২০১১ সালে। কিন্তু ইরান ও হিজবুল্লাহসহ প্রতিরোধ অক্ষের সহায়তায় সিরিয়ার ৯০ শতাংশ ভূখণ্ড এখন দেশটির সরকারের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

এ ছাড়াও হিজবুল্লাহর জোট ২০১৮ সালের নির্বাচনে লেবাননি সংসদে নিরঙ্কুশ জয় অর্জন করে সরকার গঠনে সক্ষম হয়। ইরাক ও ইয়েমেনেও প্রতিরোধ অক্ষ রাজনৈতিক এবং সামরিক ক্ষেত্রে বিজয়ী অবস্থায় রয়েছে।

এ অবস্থায় প্রতিরোধ অক্ষের শত্রুরা গণমাধ্যমের হামলা জোরদার করেছে সংগ্রামী এই অক্ষের বিরুদ্ধে। লেবানন, ইরাক, সিরিয়া ও ইয়েমেনের মত দেশগুলোর অর্থনৈতিক সংকটসহ নানা সংকটের বিষয়ে বাস্তবতাকে উল্টোভাবে তুলে ধরছে বিজাতীয় এই শত্রুরা। তারা নানা ধরনের গুজব ও মিথ্যা সংবাদ তুলে ধরে হিজবুল্লা’র চেহারাকে জনগণের কাছে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছে। এক্ষেত্রে কেবল পশ্চিমা, আরব ও ইসরাইলি সংবাদ মাধ্যমগুলোই যে সক্রিয় রয়েছে তা নয়, পশ্চিমা সরকারগুলোর ও তাদের সেবাদাস আরব সরকারগুলোর দূতাবাসও কোটি কোটি ডলার ব্যয় করে একই কাজ করছে বলে হিজবুল্লাহ-প্রধান উল্লেখ করেছেন। গত ৪০-৫০ বছরের মধ্যে এমন প্রচারণাগত হামলার নজির নেই বলে তিনি জানিয়েছেন। 

শত্রুদের এমন প্রচারণার মোকাবেলায় প্রতিরোধ অক্ষের সুদৃঢ় মিডিয়া-শক্তি না থাকলেও জুলুম ও জালেমের বিরুদ্ধে ইমাম হুসাইনের সংগ্রামী আদর্শের অনুসারী হওয়ার কারণে শত্রুদের প্রচার হামলাও ব্যর্থ হবে বলে হিজবুল্লাহ প্রধান দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। ১৯৮২ সালে হিজবুল্লাহ প্রতিষ্ঠার পর থেকে গত ৩৮ বছরের ইতিহাস পর্যালোচনা করলেই এ সত্য স্পষ্ট হয়ে যায়।   #

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com