রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ইয়াবা ব্যবসা নিয়ে সংঘর্ষে আহত ১২
কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুই গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট সংঘর্ষে কমপক্ষে ১২ জন আহত হয়েছে।
শনিবার (২৯ আগস্ট) থেকে রোববার (৩০ আগস্ট) বিকাল পর্যন্ত থেমে থেমে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে বলে নিশ্চিত করেন ১৪ এপিবিএন’র অধিনায়ক মো. আতিকুল ইসলাম।
জানা যায়, আদিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে পর্যন্ত কুতুপালং ক্যাম্পের মুন্না গ্রুপ এবং ইসলাম মাহাদ গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। শনিবার প্রথমে ফাঁকা গুলি বর্ষণ ও পরে রোববার বিকাল পর্যন্ত থেমে থেমে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। তবে, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
আতিকুল ইসলাম বলেন, উখিয়ার কুতুপালং নিবন্ধিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মুন্না গ্রুপের সাথে অনিবন্ধিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ইসলাম মাহাদ গ্রুপের মধ্যে ইয়াবা ব্যবসার আধিপত্য নিয়ে বিরোধ চলে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। শনিবার ফাঁকা গুলিবর্ষণের মাধ্যমে এই দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসে। এরই ধারাবাহিকতায় রবিবারও থেমে থেমে সংঘর্ষ শুরু হয়। উভয় পক্ষের সংঘর্ষে ক্যাম্পের ২০টিরও বেশি ঘর ও বেশ কয়েকটি পানির ট্যাংক ভাংচুর করে। খবর পেয়ে এপিবিএনের সদস্যসহ আইনশৃংখলা বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছলে দুই গ্রুপের সদস্যরা পালিয়ে যায়। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আহতদের পরিচয় পাওয়া যায়নি। সংঘর্ষে অংশ নেয়া রোহিঙ্গাদের ধরার চেষ্টা চলছে।
কুতুপালং ক্যাম্পের রোহিঙ্গা নেতা নুর বশর জানান, দীর্ঘদিন ধরে রেজিস্টার্ড ও আনরেজিস্টার্ড ক্যাম্পের দুই গ্রুপের মধ্যে চাঁদাবাজি, অপহরণ, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। গত বুধবার থেকে দফায় দফায় গুলাগুলি ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সর্বশেষ রোববার লম্বাশিয়া মাস্টার মুন্না এবং হাফেজ জাবের ও সাইফু্র গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে মুন্না গ্রুপের ৫ জন আহত এবং ৩ জন অপহরণ হওয়ার সংবাদ পাওয়া গেছে। তবে তাৎক্ষণিক তাদের নাম ঠিকানা পাওয়া যায়নি৷ আহতদের কুতুপালং এমএসএফ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে ওই রোহিঙ্গা নেতা জানান।
এর আগে শনিবার সংঘর্ষের ঘটনায় নারীসহ ৩ জন আহত হয়েছে। এ সময় দায়ের কোপে আহত ২ নারীকে কুতুপালং এমএসএফ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আর গুলিবিদ্ধ নুর আলমকে প্রথমে কক্সবাজার পরে চট্টগ্রাম হাসপাতালে প্রেরণ করেছে। সে কুতুপালং টু-ইস্ট ক্যাম্পের আহমদ হোসেনের ছেলে। তার অবস্থা আশংকাজনক বলে সূত্র জানিয়েছে।