হিন্দুত্ববাদীদের রোষানলে আমির খান
সম্প্রতি তুরস্কে অবস্থানের সময় সেদেশের ফার্স্ট লেডি এমিনে এরদোগানের সাথে দেখা করেন বলিউড তারকা আমির খান। ১৫ আগস্ট তাদের সাক্ষাতের একটি ছবি টুইট করেন এমিনে এরদোগান। টুইটার বার্তায় জানিয়েছেন, বিখ্যাত ভারতীয় এই অভিনেতার সাথে দেখা করতে পেরে তিনি আনন্দিত।
খুব দ্রুতই ছবিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
‘লাল সিং চাড্ডা’ চলচ্চিত্রের শুটিংয়ের জন্য আমির খান তুরস্কে অবস্থান করছিলেন।
এই ছবির জন্যই সরকার দলীয় সমর্থকদের সমালোচনার মুখে পড়েছেন বলিউডের মিস্টার পারফেকশনিস্ট। দেশের শত্রুর সাথে বন্ধুত্ব করছেন- এমন অভিযোগ তুলে তাকে দেশদ্রোহী আখ্যাও দিয়েছেন অনেকে।
এই সমালোচনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেই সীমাবদ্ধ থাকেনি। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস) তাদের ম্যাগাজিনের সাম্প্রতিক সংখ্যায় আমির খানকে নিয়ে ‘ড্রাগন কা প্যায়ারা খান’ শিরোনামে একটি নিবন্ধ প্রকাশ করে।
ড্রাগন বলে চীনকে নির্দেশ করা হয়েছে। অর্থাৎ, আমিরকে ‘চীনের প্রিয় খান’ আখ্যাও দেয় তারা। চীনের মোবাইল কোম্পানি ভিভোর সাথে আমির খানের চুক্তিবদ্ধ থাকার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে নিবন্ধটিতে।
চীনের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ওয়েইবোতে আমিরের ১.১৬ মিলিয়নের বেশি ফলোয়ার আছে। চীনে তার এই জনপ্রিয়তার কথা উল্লেখ করে সাময়িকীটির সম্পাদক হিতেশ শঙ্কর বলেন, চীনা কমিউনিস্ট পার্টির সহায়তায়ই আমিরের চলচ্চিত্র চীনের বাজারে ভালো ব্যবসা করছে।
এর আগে ২০১৫ সালে আমির খান একটি টিভি সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, তার স্ত্রী কিরণ রাও ভারতে থাকতে আতঙ্কিত বোধ করেন এবং সন্তানের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত থাকেন। ওই সাক্ষাৎকারের পরও সমালোচনা শুরু হয়। অনেক সংগঠন তাকে ভারত ছাড়া করার দাবি তোলে।
ভারতে বিগত বছরগুলোতে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলো তিন খানের অভিনীত চলচ্চিত্র, বিশেষত আমির ও শাহরুখ খানের চলচ্চিত্র বর্জনের আহ্বান জানায়।
সূত্র: আল জাজিরা