ব্রিটিশ বর্ণবাদীদের হাতে মার খেতে হয়েছিল নাদিয়ার দাদাকে

0

যুক্তরাজ্যের রান্নাবিষয়ক সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রতিযোগিতা বিবিসির ‘দ্য গ্রেট ব্রিটিশ বেক অফ ২০১৫ ’-এর শিরোপা জিতে ইতিহাস গড়া বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত নাদিয়া হোসেইনের পরিবারকে এক সময় দেশটিতে সাম্প্রদায়িক হামলার শিকার হতে হয়েছিল।

লন্ডনের অদূরে লুটন শহরে জন্ম নেওয়া নাদিয়ার পৈতৃক বাড়ি সিলেটের বিয়ানীবাজারের মোহাম্মদপুর গ্রামে। বাবা জমির আলী বিলেতে আসেন ১৯৭০ সালে। জমির ও আসমা দম্পতির চার মেয়ে, দুই ছেলের মধ্যে নাদিয়া তৃতীয়।

যুক্তরাজ্যে নাদিয়াই প্রথম কোনো মুসলিম নারী, যিনি রান্না-বিষয়ক ওই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেন। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর মুসলিমবিদ্বেষের শিকার হতে হয়েছিল হিজাবে অভ্যস্ত এই নারীকে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম মিররে রবিবার নাদিয়ার একটি সাক্ষাৎকার প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে তিনি নিজের এবং পরিবারের প্রতি কট্টরপন্থীদের আচরণ ‍তুলে ধরেন।

‘টিভি মিডিয়ায় আসার পর আমার মনে হয়েছে, জায়গাটা আমার নয়। সব সময় আমি এটা ভাবতে বাধ্য হয়েছি।’

‘কিন্তু আমি আমার বাচ্চাদের বলি এক হাত প্রস্তুত রাখবে,’ পূর্বপুরুষদের অভিজ্ঞতার কথা স্মরণ করে নাদিয়া বলেন, ‘আমার দাদা বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাজ্যে আসার পর এটা (বেকিং )শুরু করেন। ওই সময়ে তিনি বর্ণবাদীদের মার খেয়েছেন। যদি তিনি আশা ছেড়ে দিয়ে দেশে ফিরে যেতেন, তাহলে আজ আমরা এখানে থাকতে পারতাম না। এ জন্যই আমি বলি এই কাজটা আমার কাছে বেকিংয়ের থেকেও বেশি কিছু, এই ইন্ট্রাসড্রিতে এর মাধ্যমে আমি জায়গা পেয়েছি।’

নাদিয়া একটি টিভি ফ্যামিলি শো করছেন। একই সঙ্গে প্রামাণ্যচিত্রও করছেন। লড়াকু এই নারী ২০১৬ সালে রানির ৯০তম জন্মদিনের কেক তৈরির দায়িত্ব পান। এখন লেখালেখিতেও মন দিয়েছেন।

সম্প্রতি নিজের আত্মজীবনী শেষ করেছেন। ‘ফাইন্ডিং মাই ভয়েস’ বইয়ে তুলে ধরেছেন নিজের যৌনহেনস্তার দুর্বিষহ অভিজ্ঞতার কথা। মিররকে জানিয়েছেন, মাত্র ১০ বছর বয়সে ওই ঘটনার পর তিনি অত্মহত্যা করতে চেয়েছিলেন!

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com