ঋণের টাকায় কেনা হয়েছে ১ লাখ অনুমোদনহীন মাস্ক
বিশ্বব্যাংকের করোনা প্রকল্পে কেনা হয়েছে এক লাখ পিস অনুমোদনহীন মাস্ক। আমদানি করতে নেয়া হয়নি ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের ছাড়পত্র। কিভাবে এসব মাস্ক কেনা হলো তা জানে না মূল্যায়ন কমিটিও।
নকল মাস্কের বিরুদ্ধে ২৩ এপ্রিল রাজধানীর উত্তরায় র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান। বিভিন্ন ধরনের মাস্কের সঙ্গে পাওয়া যায় অনুমোদনহীন কেএননাইন্টি ফাইভ মাস্কও। এ সব মাস্ক আমদানি করেছে জাহানারা এন্টারপ্রাইজ নামের একটি প্রতিষ্ঠান। জরিমানা করা হয় ১০ লাখ টাকা।
এসব মাস্ক কেনা হয় করোনা মোকাবিলায় বিশ্বব্যাংকের ১১শ কোটি টাকার ঋণ প্রকল্প-ইআরপিপির অর্থ ব্যয়ে। জাহানারা এন্টারপ্রাইজের আমদানি করা এসব মাস্ক কিনে সরবরাহ করে এসআরএস ডিজাইন এন্ড ফ্যাশন লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠান। চীনের কোন কোম্পানির তৈরি তাও জানেন না এসআরআসের কর্মকর্তা।
বেশ কিছুক্ষণ কাগজপত্র হাতড়িয়ে জানান, এগুলো কে-কি কোম্পানির তৈরি। অথচ মাস্কের মোড়কে লেখা ইয়োকো কান্ট্রি কোম্পানির নাম।
এসব মাস্ক এরিমধ্যে চিকিৎসকদের সরবরাহ করা হয়েছে। তুলে নেয়া হয়েছে সাড়ে তিন কোটি টাকাও। ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মুখপাত্র আইয়ুব হোসেন জানান, মাস্ক আমদানির কোনো ছাড়পত্র নেয়নি এসআরএস।
এসআরএসের দাবি, মাস্ক পরীক্ষা করা হয়েছে সরকারি নির্ধারিত ল্যাব-এসজিএসে। কিন্তু পরীক্ষার মান নিয় প্রশ্ন তুলেছে খোদ এসআরএস-ই। তাহলে মাস্কের মান যাচাই হলো কিভাবে?
মাস্ক কেনাকাটায় দুটি কমিটি হলেও গঠন করা হয়নি জরিপ কমিটি। নিম্নমানের এসব মাস্ক কেনা ও সরবরাহের বিষয়ে জানেন না কমিটির সদস্যরা।