হিন্দুত্ববাদী আরএসএসের অর্থায়ন বন্ধ করতে জোর দাবি জানাচ্ছে পাকিস্তান

0

ভারতের একটি রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদে জড়িত থাকার অভিযোগ তুলে পাকিস্তান আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী অর্থায়ন নজরদারি প্রতিষ্ঠান ফিনান্সিয়াল অ্যাকশান টাস্ক ফোর্সের (এফএটিএফ) প্রতি জোর দাবি জানিয়েছে যাতে তারা ওই দলের অবৈধ অর্থায়নের পথ বন্ধ করে।

বুধবার (২৬ আগস্ট) পাকিস্তানের পার্লামেন্টের কাশ্মীর কমিটির চেয়ার শেহরিয়ার আফ্রিদি এক বিবৃতিতে ভারতের উগ্র হিন্দুত্ববাদী রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (আরএসএস) বিরুদ্ধে ‘সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ডের’ অভিযোগ তোলেন, যেখানে অর্থ দিয়ে সহায়তা করছে ভারতের প্রবাসী কমিউনিটি”।

গভীর উদ্বেগ জানিয়ে আফ্রিদি এবং আজাদ কাশ্মীরের সাবেক প্রধানমন্ত্রী সরদার আতিক খান বলেছেন, আরএসএস সারা বিশ্বের বহু দেশের ভারতীয় প্রবাসীদের কাছ থেকে অর্থ পাচ্ছে।

পাকিস্তানের পার্লামেন্টে অনুষ্ঠিত বৈঠক থেকে দুই নেতা জাতিসংঘ, এফএটিএফ এবং অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রতি জোর দাবি জানান যাতে তারা পরিস্থিতি সম্পর্কে সজাগ হয় এবং তাদের অবৈধ অর্থ পাচারের পথ বন্ধ করে, কারণ আরএসএস ভারতের মূল ভূখণ্ডে এবং দখলকৃত কাশ্মীরে মুসলিমদের উপর নির্যাতন ও হত্যার জন্য এই তহবিলকে ব্যবহার করছে।

তারা বলেন, “আরএসএস ২০০৬ সালে মালেগাও বিস্ফোরণ, হায়দ্রাবাদের মক্কা মসজিদে বোমা হামলা, সমঝোতা এক্সপ্রেসে বোমা হামলা এবং আজমির শরীফ দরগায় বিস্ফোরণসহ সারা ভারতে সন্ত্রাসী তৎপরতা চালাচ্ছে এবং ভারতীয় মুসলিমদের হত্যা করছে”।

আরএসএস থেকেই ভারতের বর্তমান ভারতের হিন্দুত্ববাদী ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) জন্ম হয়েছে।

আফ্রিদি ও খান বলেন, “বিভিন্ন দেশের প্রবাসী কমিউনিটি থেকে আরএসএস অর্থ পাচ্ছে, এবং ভারতীয় কনস্যুলেটগুলো এই সন্ত্রাসী সংগঠনকে অর্থ পাঠানোর ব্যাপারে সাহায্য করছে, যে সংগঠনটি ভারতে এবং কাশ্মীরে মুসলিমদেরকে হত্যা করছে এবং হিন্দুত্ববাদী আদর্শ প্রচার করছে”। আরএসএসের অবৈধ অর্থায়নের ব্যাপারে এফএটিএফের নিরবতাতে তারা বিস্ময় প্রকাশ করেন।

দুই নেতা দাবি করেন, “বৈশ্বিক অর্থায়নের নজরদারী প্রতিষ্ঠান ফিনান্সিয়াল অ্যাকশান টাস্ক ফোর্সকে অবশ্যই মানি লন্ডারিং এবং হিন্দু সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর সন্ত্রাসে অর্থায়নের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে হবে”।

আফ্রিদি জোর দিয়ে বলেন যে, পাকিস্তানের জনগণ এবং নেতৃত্ব “কাশ্মীরের ব্যাপারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং কাশ্মীরী জনগণের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী বিষয়টির সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত তারা তাদের অবস্থানে অনড় থাকবে”।

আজাদ কাশ্মীরের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খান বলেন, “কাশ্মীরের বিবাদ অত্যন্ত জটিল বিষয় এবং বিশ্বের সামনে তথ্য তুলে ধরতে পাকিস্তানকে মনোযোগ দিতে হবে”।

সারা বিশ্বের কাশ্মীরী ও পাকিস্তানী প্রবাসীদের সাথে বিনিময়ের জন্য আফ্রিদির প্রতি দাবি জানিয়ে তিনি কাশ্মীর বিবাদের বিষয়ে পশ্চিমাদের মধ্যে সচেতনতা তৈরির জন্য প্রবাসীদের প্রতি আহ্বান জানান।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com