চেয়ার ছেড়ে পালালেন জায়েদ খান!
প্রযোজক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলমের বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির পূর্ণ সদস্যপদ বাতিল করায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক বরাবর আদালত থেকে নোটিশ পাঠিয়েছেন। তবে, খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এ ধরনের কোনো নোটিশ এখনও পায়নি শিল্পী সমিতি।
তবে শামসুল আলমের অভিযোগ সমিতিতে থাকা অবস্থায় কোর্টের মেসেঞ্জার নোটিশ নিয়ে গেলেও জায়েদ খান সটকে পড়েন।
নোটিশে বলা হয়েছে, কী কারণে শামসুল আলমের সদস্যপদ বাতিল করা হলো? আর কেন বা তার সদস্যপদ পুনর্বহাল হবে না। যদি অবৈধভাবে সদস্য হয়ে থাকে তাহলে সে বিষয়েও ব্যাখ্যা চেয়েছেন আদালত। সদস্যদের অধিকার ফিরিয়ে দেয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত জানাতে হবে। এর ব্যত্যয় হলে অভিযোগকারীর পক্ষ থেকে হাইকোর্টে সদস্যপদ বহালে নির্দেশনা চেয়ে আবেদন করা হবে।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার আদালত থেকে বার্তাবাহক নোটিশ নিয়ে গেলেও সমিতির কেউ রিসিভ করেনি। অন্যদিকে বার্তাবাহক জায়েদ খানের সাথে যোগাযোগ করলেও তিনি ঢাকার বাহিরে আছেন বলে জানান।
আদালদের নোটিশ প্রসঙ্গে শামসুল আলম বলেন, আমার সদস্যপদ কেন বাতিল করা হলো? আর কেনই বা আমাকে সহযোগী সদস্য বানিয়ে রাখা হলো। এবং কেন আমি সদস্যপদ ফিরে পাবো না? এই প্রশ্নের উত্তর জানতে বিচারিক আদালতে সোমবার (১৭ আগস্ট) অভিযোগ করি। তখন আদালত থেকে সমন জারি করে জায়েদ খান বরাবর নোটিশ প্রদান করেন।
শামসুল আলম জানান, নোটিশ নিয়ে আদালতের মেসেঞ্জার বৃহস্পতিবার (২০ আগস্ট) শিল্পী সমিতিতে গিয়েছেন। জায়েদ খান তখন সমিতিতেই ছিলেন। কিন্তু নোটিশের বিষয়টি জানতে পেরে তিনি সরে পড়েন। একপাশ দিয়ে মেসেঞ্জার প্রবেশ করেন, অপর পাশ দিয়ে তিনি পালান। বিষয়টি নিয়ে জায়েদ খানোর মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।