শিশু ধর্ষণের মিথ্যা অভিযোগে বৃদ্ধকে অমানুষিক নির্যাতন করে আওয়ামী লীগ নেতা

0

যশোরের চৌগাছায় শিশু ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ এনে সুবোধ কুমার (৫৫) নামে এক ব্যক্তিকে বিদ্যুতের খুঁটিতে বেঁধে মারপিট করা হয়েছে। এ ঘটনায় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতিসহ দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
স্থানীয় ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, তিনি দোকানের সার্টার নামিয়ে এক শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। তবে, ওই শিশুটি পুলিশের কাছে এসব অস্বীকার করেছে। পুলিশ বলছে, পূর্বশত্রুতার কারণে ইস্যু তৈরি করে সুবোধকে বেঁধে অমানুষিক নির্যাতন করা হয়েছে।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, চৌগাছার পাশাপোল ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম (৫০) এবং ফারুক আহমেদের ছেলে অমিরুল ইসলাম (৫০)। তারা দুজনই স্থানীয় বাজারের ব্যবসায়ী।
পাশাপোল বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি শিমুল হোসেন বলেন, পান ব্যবসায়ী সুবোধ রোববার (৭ জুন) সকাল ৮টার দিকে একই গ্রামের স্কুলপড়ুয়া এক মেয়ে তার দোকানে যায় কিছু পুরাতন বই বিক্রি করতে। সুবোধ আশেপাশে কাউকে না দেখতে পেয়ে সুযোগ বুঝে তার দোকানের সার্টার টেনে দেন। তখন ওই মেয়েটি চিৎকার দিলে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা এসে সুবোধ কুমারকে মারপিট করে।

তিনি জানান, সুবোধ কুমার গত বছরও একবার দু’স্কুলছাত্রীকে নিজের দোকানে নিয়ে সার্টার আটকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। সেইসময়ও তাকে মারপিট করে এবং তার দোকান ভেঙে দেয় ব্যবসায়ীরা। ঘটনার প্রায় ছয়মাস পর মুচলেকা দিয়ে তিনি ফের দোকানদারি শুরু করেন।

চৌগাছা থানার ওসি রিফাত খান রাজীব বলেন, ঘটনা শুনে পুলিশ সেখান থেকে সুবোধকে উদ্ধার করে চিকিৎসা করিয়েছে। ক্লাস সিক্সে পড়া ওই মেয়ে পুলিশের কাছে যা বলেছে- তাতে সুবোধ তার সঙ্গে কোনও খারাপ আচরণ করেননি। বরং শত্রুতার কারণে শহিদুল ইসলাম ও আমিরুল ইসলাম তাদের উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতে এসব অপকর্ম করেছেন।

সুবোধ যদি কোনও অপরাধ করেন, তবে সেটি পুলিশকে জানানোর দরকার ছিল। তাকে মারধর করার কোনও অধিকার নেই তাদের।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বছরখানেক আগে তিনি কী করেছেন- তার জন্যে তো বিনা কারণে আজকে পেটাতে পারেন না কেউ।
তিনি আরো বলেন, মারপিটের ঘটনায় শহিদুল ও আমিরুলকে আটক ও মামলা হয়েছে। সোমবার তাদের আদালতে চালান দেওয়া হবে।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com