যে কারণে পুলিশকে সংবিধান পড়ে শোনালেন বিএনপি নেতা আমান
ভারতের সঙ্গে চুক্তির বিরোধিতার জেরে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের হাতে নির্মমভাবে নিহত বুয়েটের মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাদের বাড়িতে যেতে পারেননি বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমানসহ দলের কয়েকজন নেতা।
আবরারের পরিবারকে সমবেদনা ও কবর জিয়ারতের জন্য কুষ্টিয়া যাচ্ছিলেন তারা। কিন্তু পুলিশি বাধার মুখে তাদের ফিরে আসতে হয়েছে।
রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় পাবনা-কুষ্টিয়া মহাসড়কের লালন শাহ সেতুর ভেড়ামারা অংশের টোল প্লাজায় পুলিশি বাধার মুখে পড়েন তারা। সেখানে পুলিশের সঙ্গে কথা বলার পর গাড়ি ঘুরিয়ে তাদের ফেরত পাঠানো হয়।
এ সময় গাড়ি থেকে অন্য নেতাদের সঙ্গে নেমে পড়েন আমান। সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা পুলিশ কর্মকর্তার উদ্দেশে তিনি বলেন, কেন্দ্রের নির্দেশে আবরাবের বাড়িতে যাওয়া হচ্ছে। আমরা তার মা-বাবার সঙ্গে কথা বলব। যেতে না দিয়ে আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নেবেন না। এ সময় সংবিধান বের করে কয়েকটি লাইন পড়ে শোনান আমান। কিন্তু কোনোভাবেই তাদের সামনে এগোতে দেয়নি পুলিশ।
সংবিধান পড়ে শোনানোর পর আমানউল্লাহর উদ্দেশ্যে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল) এসএম আল বেরুনী বলেন, ‘সেফটি সিকিউরিটি পারপাসে আমরা আপনাকে অ্যালাও করছি না, সো গো ব্যাক।’
স্থানীয় সূত্র জানায়, নিহত বুয়েট শিক্ষার্থী আবরারের গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার রায়ডাঙ্গা গ্রামে যাওয়ার জন্য সকালে ঢাকা থেকে সড়কপথে রওনা দেন আমানউল্লাহ আমানসহ দলের কয়েকজন নেতা। আমানের সঙ্গে ছিলেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য নাজিম উদ্দিন আলম।
বেলা সাড়ে ১১টার দিকে লালন শাহ সেতুর ভেড়ামারা অংশে বিএনপির প্রতিনিধি দল পৌঁছায়। সেখানে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ভেড়ামারা সার্কেল) এসএম আল বেরুনী, ভেড়ামারা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবদুল আলীমসহ পুলিশ সদস্যরা তাদের গাড়ির গতিরোধ করেন। একই সঙ্গে সড়কে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে তাদের বাধা দেয় পুলিশ।
আমানের সঙ্গে ছিলেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য নাজিম উদ্দিন আলম, কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক এমপি সৈয়দ মেহেদী আহম্মেদ রুমী ও সাধারণ সম্পাদক সাবেক এমপি সোহরাব উদ্দিন।