আমেরিকায় বর্ণবাদী আন্দোলন উসকে দিচ্ছে চীন: পম্পেও
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও অভিযোগ করেছেন, তার দেশের পুলিশের হাতে একজন কৃষ্ণাঙ্গ নাগরিকের হত্যাকাণ্ড থেকে সৃষ্ট আন্দোলনে উসকানি দিচ্ছে চীন। তিনি বলেছেন, ব্যাপকভাবে বিক্ষোভের খবর প্রচার করে চীন বিষয়টির অপব্যবহার করছে।
পম্পেও গতরাতে (শনিবার রাতে) এক বক্তব্যে দাবি করেন, হংকং ও তিনেয়ানমেন স্কয়ারের বিক্ষোভকারীদের কঠোর হাতে দমন করেছে চীন। ওই খবর প্রচারকারী সাংবাদিকদের দীর্ঘমেয়াদি কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী দাবি করেন, অথচ আমেরিকায় কৃষ্ণাঙ্গ নাগরিককে হত্যাকারী পুলিশ কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করা সত্ত্বেও বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে এবং বিক্ষোভকারীরা জনগণের জানমাল লুট করলেও তা প্রচার না করে শুধু বিক্ষোভের খবরই প্রচার করা হচ্ছে।
চীনকে আক্রমণ করে পম্পেও আরো বলেন, চীনের যেসব সাংবাদিক ও ডাক্তার করোনাভাইরাস সম্পর্কে সতর্ক করে দিয়েছিলেন তাদেরকে চুপ করিয়ে দেয়া হয়েছে অথবা অপহরণ করা হয়েছে। এ ছাড়া, চীন করোনায় নিহতের প্রকৃত সংখ্যা গোপন রাখছে বলেও অভিযোগ করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
আমেরিকায় গত প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে পুলিশি বর্বরতা এবং বর্ণবাদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। বিক্ষোভকারীরা বলছেন, মার্কিন সমাজে কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন না আসা পর্যন্ত চলমান বিক্ষোভ অব্যাহত থাকবে। আমেরিকার মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের মিনেপোলিস শহরে কৃষ্ণাঙ্গ নাগরিক জর্জ ফ্লয়েডের হত্যাকাণ্ডের পর দেশজুড়ে প্রচণ্ড বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা বলছেন, মার্কিন সমাজ ও রাষ্ট্রব্যবস্থায় যে বর্ণবাদ ও বর্ণবৈষম্য বিরাজমান রয়েছে তার অবসান ঘটাতে হবে। চলমান বিক্ষোভ আমেরিকার ৫০ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।