শ্রমিকদের কোটি টাকা আত্মসাৎ, আ’লীগ নেতাকে পিঠ মোড়া করে বেঁধে রাখল বিক্ষুব্ধরা
বেনাপোল স্থলবন্দরের শ্রমিক সর্দার ও আওয়ামী লীগ নেতা রকিব উদ্দীন নকি মোল্লা শ্রমিকদের পাওনা ১ কোটি ৩২ লাখ টাকা আত্মসাত করার ঘটনায় টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে গোটা বন্দর এলাকায়।
অভিযুক্ত নকি মোল্লা বেনাপোল পৌরসভার বড়আচড়া ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বন্দরের ৮৯১ শ্রমিক ইউনিয়নের গ্রুপ সর্দার।
বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা সোমবার সকালে শ্রমিক সর্দার রকিব উদ্দীন নকি মোল্লাকে আটক করে সড়কের পাশের বৈদ্যুতিক খুঁটিতে পিঠ মোড়া করে বেঁধে রাখেন। পরে স্থানীয় প্রভাবশালীদের হস্তক্ষেপে আবারো টাকা পরিশোধের প্রতিশ্রুতি দিয়ে রক্ষা পায়।
বেনাপোল বন্দরের ৮৯১ হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়নের সামনে সাধারণ শ্রমিকরা তাকে বেঁধে ১ ঘন্টা রেধে রাখেন। খবর পেয়ে স্থানীয় প্রভাবশালী শ্রমিক ও আওয়ামী লীগের নেতারা ৭০ লাখ টাকা পরিশোধের চুক্তিতে তাকে মুক্ত করেন।
সাধারণ শ্রমিকরা বলেন, আমাদের রক্ত-ঘাম ঝরানো ১ কোটি ৩২ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন শ্রমিক সর্দার ও আওয়ামী লীগ নেতা রকিব উদ্দীন নকি মোল্লা। বারবার সময় নিয়ে প্রতারণা করছিলেন তিনি। অবশেষে আজ শ্রমিকরা টাকা আদায়ের জন্য তাকে বেঁধে রাখেন। পরে প্রভাবশালী শ্রমিক নেতা ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের মাধ্যমে ৭০ লাখ টাকায় মীমাংসা করেছে। বাকি টাকা আমরা আর ফেরত পাব না বলে তারা জানিয়েছেন।
শ্রমিকরা বলেন, আমাদের পাওনা টাকা না দিয়ে, আত্মসাত করা টাকায় গরুর খাটাল, চারটি ট্রাক ও জমিজমা কিনেছেন নকি মোল্লা। সব সময় প্রভাবশালী শ্রমিক নেতাদের মাধ্যমে শ্রমিকরা শোষণ ও বঞ্চনার শিকার হয়ে আসছেন দীর্ঘদিন ধরে। প্রতিবাদ করলে কাজ হারাতে হয়। শ্রমিক নেতাদের ভাগ্যের পরিবর্তন হলেও যাদের রক্ত-ঘাম ঝরিয়ে অর্থ আয় হয়, তাদের কোনো পরিবর্তন হয় না। সব সময় দুঃখ দুর্দশার মধ্য দিয়ে তাদের দিন পার করতে হয়।
বেনাপোল স্থলবন্দরের ৮৯১ শ্রমিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি খলিলুর রহমান জানান, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা এসে তিন দফা বৈঠক করে ৭০ লাখ টাকা পরিশোধের অঙ্গীকার দিয়ে নকি মোল্লাকে ছাড়িয়ে নিয়েছেন।