জাতীয় টেকনিক্যাল কমিটির সুপারিশ উপেক্ষা, অসংখ্য প্রাণ বলিদানের নামান্তর: রব
করোনার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় গঠিত জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটির সুপারিশ উপেক্ষা করে লকডাউন প্রশ্নে সরকারের সিদ্ধান্ত অসংখ্য প্রাণ বলিদানের নামান্তর বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব। আজ শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ মন্তব্য করেন। বিবৃতিতে আ স ম রব বলেন, গঠিত জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটি বলেছে, পৃথিবীর অন্যান্য দেশের অভিজ্ঞতা হলো রোগ সংক্রমণের হার সুনির্দিষ্টভাবে কমার আগে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা চালু করলে রোগের হার বাড়ার আশঙ্কা থাকে। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রযোজ্য বিধি–বিধানগুলো সঠিক পদ্ধতিতে প্রয়োগ না করে শিথিল করা হলে রোগীর সংখ্যা ব্যাপক‘ভাবে বৃদ্ধি পেয়ে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর প্রচন্ড চাপ সৃষ্টি করতে পারে। কমিটির এই পরামর্শ সম্পূর্ণ অগ্রাহ্য করে সরকার লকডাউন প্রশ্নে যে পদক্ষেপ নিয়েছে তা অসংখ্য প্রাণ বলিদানের নামান্তর। তিনি বলেন, আমাদের দেশে সরকার গঠিত তদন্ত কমিটি, পরামর্শক কমিটিসহ সকল কমিটি সুপারিশ দেয়ার আগে সরকারের মুখের দিকে চেয়ে থাকে। সাম্প্রতিককালে সরকার প্রধানের সাথে জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সভাগুলোতে সরকারি কর্মকর্তাদের সরকারের মনোভাব ও আগ্রহ বুঝে সরকারকে সন্তুষ্ট করার অন্তহীন প্রতিযোগিতায় লিপ্ত থাকার দৃশ্য দেশবাসী প্রত্যক্ষ করেছে। এই কমিটি সরকারের ইচ্ছাকে প্রাধান্য না দিয়ে জাতীয় স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে ঐতিহাসিক দায় পূরণ করেছে।
তা ইতিহাসে একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে। এটি অভিনন্দন যোগ্য। এবারের করোনা মহামারীতে দেশবাসীর জীবন সুরক্ষায় চিকিৎসদের ভূমিকা রাষ্ট্রীয় রাজনীতিতে এক নতুন দিগন্তের উন্মেষ ঘটিয়েছে। রব আরও বলেন, কোভিড-১৯ এর টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটির সুপারিশ উপেক্ষা করায় রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে মারাত্মক সীমাবদ্ধতা প্রকাশ পেয়েছে। চিকিৎসার ক্ষেত্র ছাড়াও জ্ঞান বিজ্ঞান প্রযুক্তি এবং অর্থনীতির অন্যান্য ক্ষেত্রেও পেশাজীবীদের ভূমিকা অনিবার্য হয়ে উঠেছে। তাই এখন পেশাজীবীদের অংশগ্রহনমূলক রাষ্ট্রীয় শাসন কাঠামো প্রবর্তন করা জাতীয় কর্তব্যে পরিণত হয়েছে। এ প্রশ্নে এখনই উদ্যেগ নেয়া জরুরি প্রয়োজন।