ভাঙ্গা পৌর প্যানেল মেয়রের ছেলে চাঁদাবাজির মামলায় গ্রেপ্তার
ফরিদপুরের ভাঙ্গা পৌরসভার প্যানেল মেয়র লিয়াকত মোল্লার ছেলে শোয়েব মোল্লাকে (২৮) চাঁদাবাজির মামলায় গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে তাকে ভাঙ্গা পৌর এলাকার হোগলাডাঙ্গী গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
শোয়েবের বিরুদ্ধে ভাঙ্গা থানায় একটি হত্যা মামলা ছাড়াও সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজির অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। গ্রেপ্তারের পর তাকে নিয়ে পুলিশ একাধিকস্থানে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে দেশীয় অস্ত্র ও মাদক দ্রব্য উদ্ধার করেছে।
ভাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শফিকুর রহমান জানান, গত ২১ মে হোগলাডাঙ্গী গ্রামের ব্যবসায়ী সেকেন্দার ব্যাপারীর নিকট ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে শোয়েব। টাকা না দেওয়ায় মারপিট করা হয়। এ ঘটনায় গত বুধবার তার বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা হয়। শোয়েব ভাঙ্গার মন্টু হত্যা মামলার অন্যতম আসামি ছিল বলে জানান তিনি।
ভাঙ্গা পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও হোগলাডাঙ্গী গ্রামের বাসিন্দা লাবলু মুন্সি বলেন, শোয়েবের ভয়ে সকলে সন্ত্রস্ত থাকতো। তার আটকের খবরে এলাকায় স্বস্তি ফিরে এসেছে। ভাঙ্গা বাজারের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ব্যবসায়ীদের জিম্মি করে সে নিয়মিত চাঁদা আদায় করত। চাঁদা না দিলে তাদের ওপর নানাভাবে নির্যাতন করত। তার ভয়ে কেউ থানায় অভিযোগ দিতেও সাহস পায় না।
হোগলাডাঙ্গী গ্রামের সাদ্দাম মুন্সি (৩০) নামে এক তরুণ বলেন, তার অন্যায়ের প্রতিবাদ করায় প্রকাশ্যে সালিশের মধ্যে তাকে কুপিয়ে ভুঁড়ি বের করে দেয়। ৬ মাস আগেও একটি মোটরসাইকেল ছিনতাইয়ের নেতৃত্ব দেয়ার সময় বাঁধা দেয়ায় সুমন নামে এক তরুণকে সে কুপিয়ে জখম করে।
শোয়েবের বাবা ভাঙ্গা পৌরসভার প্যানেল মেয়র লিয়াকত মোল্লা বলেন, তার ছেলের বিরুদ্ধে এসবই ষড়যন্ত্রমূলক অভিযোগ। সে কোন সন্ত্রাস বা চাঁদাবাজির সাথে জড়িত না।
ভাঙ্গা সার্কেলের এএসপি গাজী রবিউল ইসলাম জানান, সে সংঘবদ্ধ মাদক নেটওয়ার্কের সাথে যুক্ত বলে তদন্তে জানা গেছে। গ্রেপ্তারের পর তাকে নিয়ে বিভিন্নস্থানে অস্ত্র ও মাদক উদ্ধারে অভিযানে নেমেছে পুলিশ।