চুল কেটে দেন স্বামী, গোপনাঙ্গে মরিচের গুড়া ছিটিয়ে দেন শাশুড়ি
নওগাঁর সাপাহারে অসামাজিক কাজে রাজী না হওয়ায় স্বামী ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে মাথার চুল কেটে নির্যাতনের অভিযোগ তুলেছেন এক নারী। মঙ্গলবার দুপুরে (২৬ মে) নির্যাতনের শিকার ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করে সাপাহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে স্বামী রফিকুল ইসলাম এবং শাশুড়ি রাজিয়া বিবি পলাতক রয়েছেন। গত ২৩ মে উপজেলার হাঁপানিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূ জানান, দেড় বছর আগে উপজেলার হাঁপানিয়া গ্রামের হোসেন আলীর ছেলে রফিকুল ইসলামের সঙ্গে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার চাঁনপুর সাহেব গ্রামের ওই নারীর (৩৩) বিয়ে হয়। বিয়ের পর দু-তিন মাস ভালোই কেটেছে তাদের দাম্পত্ত জীবন। এরপর থেকেই তাদের সংসারে কলহ শুরু হয়। স্বামী রফিকুল ও শাশুড়ি রাজিয়ার দ্বারা মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনের শিকার হন গৃহবধূ।
গত ২৩ মে স্বামী রফিকুল তাকে দিয়ে অসামাজিক কাজ করিয়ে অর্থ উপার্জনের জন্য চাপ দেন। কিন্তু তিনি রাজি না হওয়ায় অমানসিক নির্যাতন নেমে আসে তার ওপর। প্রথমে তার মাথার চুল কেটে দেন স্বামী। এরপর শাশুড়ি রাজিয়া বিবি তার গোপনাঙ্গে মরিচের গুড়া ছিটিয়ে দেন। এতে যন্ত্রণায় চিৎকার করলে রফিকুল তার মুখে কাপড় গুঁজে দেন। এরপর দুইদিন তাকে বাড়ি থেকে বের হতে দেয়া হয়নি। ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি দেয়া হয়।
সোমবার (২৫ মে) বিকেলে ওই গৃহবধূ সুযোগ বুঝে বাড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর বিষয়টি প্রকাশ পায়। এরপর থেকেই গৃহবধূর স্বামী ও শাশুড়ি পালাতক রয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৬ মে) দুপুরে গৃহবধূর অবস্থা দেখে তাকে সাপাহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন স্থানীয় গণ্যমান্যরা। বিকেলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে রফিকুল ইসলাম ও তার মা রাজিয়া বিবিকে না পেয়ে ফিরে আসে।
সাপাহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হাই বলেন, নির্যাতিতা ওই গৃহবধূ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। বর্তমানে তার কোনো অভিভাবক না থাকায় থানায় মামলা দায়ের হয়নি। তবে গৃহবধূর বাবা গ্রাম থেকে এসে থানায় মামলা দায়ের করবেন বলে জানা গেছে।