এবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এর বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ এর অভিযোগ
আরিফ মাহফুজ (ডিএল চীফ রিপোর্টার) ঃ করোনা মহামরীতে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রনালয়ের পক্ষ থেকে সাধারন অসচ্ছল জনগনের মধ্যে আর্থিক প্রণোদনা, পিপিই, মাস্ক ইত্যাদির জন্য অর্থ বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে। সরকারী ত্রাণ আত্মসাৎ ঘটনা ঘটছে প্রতিনিয়ত। তা থেকে ব্যক্তিক্রম নয় সুনামগঞ্জ জেলার জামালগঞ্জ উপজেলাও।
জামালগঞ্জের স্থানীয় জনসাধারনের সুরক্ষার জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ের সরকারী তহবিলের অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয় সাবান,মাস্ক,পিপিই ইত্যাদি কেনার জন্য কিন্তুু বরাদ্দকৃত অর্থ সম্পুর্ণ ভাবে ব্যবহার না করে তহবিলের অর্থ আত্মসাৎ করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং উপজেলা ভারপ্রাপ্ত চেয়াম্যান এই মর্মে অভিযোগ পাওয়া যায়।
জামলাগঞ্জ উপজেলার ভীমখালী ইউনিয়নয়ে মানীগাঁও গ্রামের সমাজ সেবক আবুল কাসেম অভিযোগ করেন যে, স্থানীয় সরকার মন্ত্রনায়লের উপজেলা তহবিল থেকে দুই মেয়াদে-১ লক্ষ ও ১লক্ষ বিশ হাজার টাকা উত্তোলন করা হয় সাধারন জনগনের জন্য করোনা প্রটেকশন সামগ্রী ক্রয় করার জন্য কিন্তুু উক্ত বরাদ্দকৃত টাকা থেকে মাত্র ৪৬ পিস পিপিই ক্রয় করে বিতরন করা হয় যার আনুমানিক বর্তমান মূল্য ২২,৫০০ টাকা। আবুল কাসেমের সাথে আলাপ করে জানা যায় অতিরিক্ত অর্থ দিয়ে ৬টি ইউনিয়নের জনগনের মধ্যে কোন কিছু বিতরন না করে অর্থ আত্মসাৎ করেছেন বর্তমান উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিশ্বজিৎ সরকার,উপজেলা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বীনা রাণী তালুকদার।
উক্ত অভিযোগ পত্রের অনুলিপি অভিযোগকারী জনাব আবুল কাসেম সুনামগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য, মহিলা সংসদ সদস্য এবং বিভাগী কমিশনার সিলেট এর বরাবরে প্রেরন করেছেন। উক্ত সরকারী অর্থ আত্মসাৎ বিষয়টিকে সুষ্ট তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য তিনি অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করেন। অভিযোগ পত্রে আরও উল্লেখ করা হয় যে, মে মাসে উপজেলার সাধারন সভায় সদর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান,সাচনা বাজার ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান পিপিই ক্রয়ে অনিয়ম নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন ।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং উপজেলা ভারপ্রাপ্ত চেয়াম্যান এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তাঁরা উভয়ই বিষয়টিকে সঠিক নয় বলে উল্লেখ করেন। তাঁরা আরও জানান বরাদ্দের উত্তোলনকৃত অর্থ সঠিক ভাবেই সামগ্রী ক্রয় করে জনগনের মধ্যে বন্টন করা হয়েছে। অভিযোগকারী আবুল কাসেম কাছ থেকে কোন অভিযোগ পত্র অফিসিয়াল ভাবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়াম্যান কেউই পাননি বলে উল্লেখ করেন।