যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে মহিষ চুরির অভিযোগ
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে বদরুল হাসান শিবলু নামে এক যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে ২১টি মহিষ চুরির অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ করেছেন মো. সোহেল নামের এক খামারী।
বদরুল হাসান শিবলু উপজেলার সাহেরখালী ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং তিনি একই ইউনিয়নের কাজীর তালুক গ্রামের আব্দুল মন্নানের ছেলে।
জোরারগঞ্জ থানায় খামারী সোহেলের দেওয়া অভিযোগ ও তার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ১৫ মে ইছাখালী ইউনিয়নের চরশরৎ গ্রামের বালুর মাঠ থেকে ২১টি মহিষ চুরি হয়। অনেক খোঁজার পর তিনি ১৮ মে জানতে পারেন যে, চোরাইকৃত মহিষগুলো সাহেরখালী ইউনিয়নের যুবলীগ নেতা শিবলুর কাছে রয়েছে। এরপর খামারী সোহেল গত ১৯ মে জোরারগঞ্জ থানায় যুবলীগ নেতা শিবলুসহ আরেকজনের নাম উল্লেখ করে, আরো অজ্ঞাত ৭/৮ জনকে আসামী করে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এরপর পুলিশ ২০ মে দুপুরে ১৩টি মহিষ সাহেরখালী ইউনিয়নের সিপি সংলগ্ন বেড়িবাঁধ এলাকা থেকে উদ্ধার করতে সক্ষম হলেও বাকি ৮টি মহিষ উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
এ ব্যাপারে খামারী সোহেল বলেন, মহিষ চুরি হওয়ার তিন দিন পর আমি খোঁজ নিয়ে জানতে পারি, মহিষগুলো বদরুল হাসান শিবলুর বাড়িতে আছে। আমি মহিষগুলো তার কাছ থেকে আনতে গেলে সে আমাকে হুমকি ধমকি দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। ১৯ মে আমি জোরারগঞ্জ থানায় অভিযোগ করি। অভিযোগ দায়েরের পর পুলিশ ১৩ টি মহিষ উদ্ধার করে আমার হেফাজতে দেয়। কিন্তু আমার আরো ৮টি মহিষ এখনো পাওয়া যায় নাই। ওই আটটি মহিষের বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ১০ লাখ টাকার অধিক।
এ ব্যাপারে সাহেরখালী ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও অভিযুক্ত বদরুল হাসান শিবলু বলেন, উক্ত ঘটনায় আমি কোনোভাবে জড়িত নই। বদিউল্ল্যাহ পাড়ার কিছু লোক এলাকায় মহিষ ঘুরতে দেখে সেগুলোকে ধরে আমাকে ফোনে জানিয়েছিল। এরপর ১৩টি মহিষ প্রকৃত মালিকের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এরপরও মালিক পক্ষ আরো ৮টি মহিষ আমাদের কাছে রয়েছে বলে দাবি করছে। আমি কাউকে হুমকি দেইনি। রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের কারণেই আমার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
মিরসরাই উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক নুরুল মোস্তফা মানিক বলেন, তদন্তে যদি শিবলু জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যায় তাহলে অবশ্যই আইন প্রয়োগকারী সংস্থা তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। সে ক্ষেত্রে দল তার কোনো অপকর্মের দায় নেবে না।
এ ব্যাপারে জোরারগঞ্জ থানার ওসি মফিজ উদ্দিন ভূইয়া বলেন, মহিষ চুরির ঘটনায় একটি অভিযোগ আমি পেয়েছি। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।