বান্দরবানে স্কুল নির্মাণে রডের পরিবর্তে বাঁশ আওয়ামী লীগ নেতার
পার্বত্য জেলা বান্দরবানের আলীকদম উপজেলার কুরুকপাতা মৈত্রী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নির্মাণে লোহার রডের পরিবর্তে বাঁশ ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় আপাতত কাজ বন্ধ রাখতে ঠিকাদারকে নির্দেশ দিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, কুরুকপাটা মৈত্রী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবনের ড্রপ দেয়ালে লোহার রডসহ বাঁশ ব্যবহার করা হয়েছে। সিএইচটিডিবির উপ-সহকারী প্রকৌশলী ত্রিদিব কুমার ত্রিপুরা জানান, “অভিযোগ শুনেই আমি ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখলাম যে বিদ্যালয়ের ভবনের ড্রপ প্রাচীর নির্মাণে বাঁশ ব্যবহার করা হচ্ছিল। এতে তৎক্ষণাৎ, আমরা ড্রপ প্রাচীরটি ভেঙে দিয়ে বাঁশ ব্যবহার করায় ঠিকাদারকে সতর্ক করেছি। দোষী ঠিকাদারের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
কুরুকপাতা মৈত্রী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ইনচার্জ) আবু সামা জানান, ‘আমরা বহুবার সিএইচটিডিবি কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি যে ঠিকাদার লোহার রডের পরিবর্তে বাঁশ ব্যবহার করছে। তবে তারা দীর্ঘদিন আমাদের অভিযোগের প্রতি মনোযোগ দেয়নি।’
প্রধান আরও শিক্ষক জানান, ২০১৩ সালে জাতীয়করণ করা এই স্কুলে মোট ১৭৯ জন শিক্ষার্থীর বেশিরভাগ ম্রো সম্প্রদায়ের।
একটি ড্রপ দেয়ালে বাঁশ ব্যবহার করার কথা স্বীকার করেছেন ভবনটির ঠিকাদার, আওয়ামী লীগের আলীকদম উপজেলা শাখার সহ-সভাপতি ও আলীকদম সদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. জামাল উদ্দিন।
কুরুকপাটা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ক্রেপ পুং ম্রো বলেছেন, সত্যিই এটি দুর্ভাগ্যজনক যে একটি স্কুল ভবন নির্মাণে বাঁশ ব্যবহার করা হয়েছে, যা শিক্ষার্থীদের জন্য বিশাল ঝুঁকি সৃষ্টি করে। মৈত্রী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি কুরুকপাটা ইউনিয়নের একমাত্র সরকারি বিদ্যালয়।
বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন বান্দরবান জেলা প্রশাসক দাউদুল ইসলাম।