মুখ বন্ধ করে দেয়া হলো বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসকদের
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক চিকিৎসক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা এখন আর গণমাধ্যমের সাথে কথা বলতে পারবেন না। কথা বলতে হলে কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে।
গত ২ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এ বি এম আব্দুল হান্নান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে যে, কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতিত গণমাধ্যমে বক্তব্য ও বিবৃতি প্রদান না করার অনুরোধ করা হয়েছে।’
তবে টেলিভিশনের টকশোতে অংশগ্রহণে অথবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্ট্যাটাস দেয়া অথবা কোনো কিছু শেয়ার করা ক্ষেত্রে সরকার অথবা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমুর্তি যেন ক্ষুন্ন না হয় সেদিকে সতর্ক থাকতে অনুরোধ করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মেডিক্যাল এই বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন শিক্ষক, চিকিৎসক জানিয়েছেন, ‘কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে কথা বলতে হবে’ কথাটি যোগ করে দেয়া হলেও এটা মনে করার কোনো কারণ নেই যে, কর্তৃপক্ষ চিকিৎসকদের অনুমতি দেবেন মিডিয়ার সাথে কথা বলতে। মুখ চেনা কয়েকজনের ক্ষেত্রে হয়তো এমন হতে পারে কিন্তু সবার জন্য হবে না। এই আদেশে, তাদের অগণতান্ত্রিক মানসিকতাই প্রকাশ পেল।
তারা রোববার জানিয়েছেন, টকশোকে ইচ্ছা করেই বাদ দেয়া হয়েছে। কারণ টকশোতে সরকার সমর্থক অনেক শিক্ষক, চিকিৎসক অংশ নিয়ে থাকেন। তাদের ইচ্ছা করলেও কর্তৃপক্ষ আটকাতে পারবেন না। এ আদেশটি কেবল ভিন্ন মতাবলম্বী শিক্ষক, চিকিৎসকদের জন্যই। বিশ্ববিদ্যালয় অথবা সরকারের সমালোচনা তারাই করে থাকেন।