বিষাক্ত জাহাজ দেশে প্রবেশ করতে না দেওয়ার আহ্বান
শিপ ব্রেকিং প্রতিষ্ঠানের আমদানি করা বিষাক্ত জাহাজ বাংলাদেশে প্রবেশ করতে না দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)।
শুক্রবার (১ মে) গণমাধ্যমে পাঠানো সুজন সভাপতি এম হাফিজ উদ্দিন খান ও সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ আহ্বান জানান।
বিবৃতিতে তারা বলেন, গতকাল ৩০ এপ্রিল একটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত ‘Toxic Ship Heading to Bangladesh শিরোনামের একটি প্রতিবেদনের দিকে আমাদের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে। প্রতিবেদনটির মাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি যে, একটি শিপ ব্রেকিং প্রতিষ্ঠান অত্যন্ত বিষাক্ত একটি জাহাজ আমদানী করছে এবং
জাহাজটি ইন্দোনেশিয়া থেকে বাংলাদেশে আসছে। জে-নাট নামের বিষাক্ত এই জাহাজটিতে ১৫০০ টন পারদ-দূষিত বর্জ্য, ৬০ টন স্ল্যাজ অয়েল, ১০০০ টন ঝাল তেল এবং ৫০০ টন তৈলাক্ত জল রয়েছে। বিপজ্জনক এই জাহাজটি আমদানি হলে তা জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য হুমকি হয়ে উঠবে। আর এই জাহাজ যদি ভাঙা হয় তা শ্রমিকদের জন্যও হবে চরম ঝুঁকিপূর্ণ। মাঝে মাঝে বিষাক্ত গ্যাস নিঃসরণ ও বিস্ফোরণে শ্রমিকদের মৃত্যুও ঘটে থাকে।
তারা বলেন, জাহাজ আমদানির ব্যাপারে পরিবেশ অধিদপ্তরের এনওসি নেওয়ার বিধান থাকলেও এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের বক্তব্য স্পষ্ট নয়। শিল্পমন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মিজানুর রহমান বলেছেন “আমি নিশ্চিত নই যে, এর আগে এই জাহাজের জন্য এনওসি নিয়েছিল কি না। মাঝে মাঝে তথ্য গোপন করে শিপ ব্রেকাররা বিষাক্ত জাহাজ আমদানির চেষ্টা করেন।”
বিবৃতিতে আরও বলা হয় , ১৫ এপ্রিল,২০২০-এ ‘ইন্দোনেশিয়ান ইনভারমেন্ট কেয়ার কমিটি’ নামক একটি এনজিও ইন্দোনেশিয়ান পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের কাছে বিষাক্ত বর্জ্যের অবৈধ রফতানির বিষয়ে একটি অনলাইন অভিযোগ দায়ের করেছিল এবং ১৭এপ্রিল ২০২০-এ সংশিষ্ট বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে জাহাজটিকে বন্দর ছেড়ে যাওয়ার ছাড়পত্র না দিতে অনুরোধ জানিয়ে ছিল। তা সত্ত্বেও ১৭ এপ্রিলেই জাহাজটিকে বন্দর ছেড়ে যাওয়ার ছাড়পত্র প্রদান করা হয়।
তাই বিষয়টি নিয়ে আমরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি এবং বিষাক্ত এই জাহাজ যেন বাংলাদেশে কোনোক্রমেই প্রবেশ করতে না পারে, সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।