চাকরি বাঁচাতে করোনার ঝুঁকি নিয়ে ঢাকামুখী গার্মেন্টসকর্মীরা
করোনাভাইরাসের ঝুঁকির মধ্যে আজও পদ্মা পাড়ি দিয়েছেন ঢাকামুখী হাজারো পোশাক শ্রমিক। শুক্রবার (০১ মে) মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলার শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটে ঢাকামুখী পোশাক শ্রমিকদের ভিড় ছিল।
নৌপথে ফেরিতে পদ্মা নদী পার হয়েছেন হাজারো পোশাক শ্রমিক। শুক্রবার সকালে কাঁঠালবাড়ি ঘাট থেকে ফেরিতে শিমুলিয়া ঘাটে এসে ঢাকার উদ্দেশ্যে যেতে দেখা গেছে পোশাক শ্রমিকদের। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় বিকল্প পরিবহনে গন্তব্যে ছুটছেন তারা।
সীমিত আকারে পোশাক কারখানা চালুর ঘোষণা দেয়ার পর মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলার শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটে ঢাকামুখী শ্রমিকদের ভিড় বেড়েছে কয়েকগুণ।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার (৩০ এপ্রিল) সকাল থেকে ট্রলার ও ফেরিতে পদ্মা পাড়ি দিয়েছেন ঢাকামুখী হাজারো পোশাককর্মী।
শিমুলিয়া ঘাট সূত্র জানায়, পঞ্চম দিনের মতো শুক্রবার শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটে ঢাকামুখী পোশাককর্মীদের ভিড় ছিল। হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন তারা। সকাল থেকে ফেরি ও ট্রলারযোগে পদ্মা পাড়ি দিয়ে শিমুলিয়াঘাটে গেছেন হাজারো পোশাককর্মী।
পোশাককর্মীরা জানিয়েছেন, কাজে যোগ দেয়ার জন্য তাদের চাপ দিয়েছে মালিকপক্ষ। কাজে যোগ না দিলে চাকরি থাকবে না বলে জানানো হয়েছে। এজন্য করোনার ঝুঁকি জেনেও চাকরি বাঁচাতে কারখানায় যাচ্ছেন তারা। ৩-৪ গুণ বেশি ভাড়া দিয়ে গন্তব্যে যেতে হচ্ছে তাদের।
লৌহজং উপজেলার মাওয়া নৌ-ফাঁড়ির ইনচার্জ সিরাজুল ইসলাম বলেন, যাত্রীবোঝাই করে কাঁঠালবাড়ি ঘাট থেকে ছেড়ে আসা একটি ফেরি শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে শিমুলিয়া ঘাটে নোঙর করে। ফেরিতে শত শত যাত্রী ছিলেন। এদের অধিকাংশই পোশাককর্মী। এর আগে সকালে রো রো ফেরি বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর ও ডাম্প ফেরি রামশিং শিমুলিয়া ঘাটে এসে নোঙর করেছিল। এই দুটি ফেরিতেও শত শত পোশাককর্মী ছিলেন। পাশাপাশি অনেকেই ট্রলারে পদ্মা পাড়ি দিয়ে গন্তব্যে গেছেন।
এদিকে, ঢাকায় ফিরতে অনেকটাই বেগ পেতে হচ্ছে পোশাককর্মীদের। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছেন তারা। ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও সিএনজি দিয়ে অতিরিক্ত ভাড়া গুণে গন্তব্যে যাচ্ছেন তারা।