শ্রমিকদের নিয়ে ব্যতিক্রমী স্থিরচিত্র

0

‘মে দিবস’ এলেই যেন আমাদের বিভিন্ন পেশার শ্রমিকের কথা মনে পড়ে। আসলে আমরা তো সবাই শ্রমিক। তবে শারীরিক শ্রম যাদের বেশি; তারাই বেশি নিগৃহিত হন। যুগে যুগে সেসব শ্রমিকের জন্যই সোচ্চার হয়েছে বিভিন্ন সংগঠন। এগিয়ে এসেছেন অনেক ব্যক্তিও। এবার শ্রমিকদের নিয়ে ব্যতিক্রমী স্থিরচিত্র তৈরি করেছেন সচেতনতার ফেরিওয়ালা খ্যাত সাঈদ রিমন।

in

সাঈদ রিমন ইতোমধ্যে দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমে পরিচিতি পেয়েছেন তার সচেতনতামূলক কার্যক্রমের জন্য। ফলে তাকে বলা হয় ‘সচেতনতার ফেরিওয়ালা’। তিনি নিয়মিত সড়ক দুর্ঘটনা, ছিনতাই, মাদক ও পকেটমারসহ বিভিন্ন বিষয়ে সচেতন করে থাকেন। এছাড়া সম্প্রতি করোনা দুর্গতদের মাঝে উপহার সামগ্রী পৌঁছে দিয়েও প্রশংসা কুড়াচ্ছেন।

তিনি সবাইকে স্থিরচিত্রের মাধ্যমে সচেতন করে থাকেন। তার প্রত্যেকটি স্থিরচিত্র যেন একেকটি গল্প। সেই স্থিরচিত্রের কেন্দ্রীয় চরিত্রেও দেখা যায় তাকে। অর্থাৎ বিভিন্ন সময় নিজেই বিভিন্ন চরিত্রে হাজির হন আলোকচিত্রে। তারই ধারাবাহিকতায় এবার বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষের চরিত্রে দেখা গেল তাকে। মে দিবস উপলক্ষে সেসব ছবি পোস্ট করেছেন ফেসবুকে।

in

এসব স্থিরচিত্রে সাঈদ রিমনকে রিকশা চালক, মুচি, পোশাক শ্রমিক, বাস কন্ডাক্টর, সিকিউরিটি গার্ড, কুলি, পরিচ্ছন্ন কর্মী, বাসের হেলপার, নির্মাণ শ্রমিকসহ বিভিন্ন চরিত্রে দেখা যায়। এর জন্য তাকে পেশা অনুযায়ী পোশাকও পরতে হয়। নিজেকে ওই শ্রমিকের আদলে তৈরি করে তিনি ক্যামেরার সামনে দাঁড়ান।

বিভিন্ন উপলক্ষে ছবিগুলো পোস্ট করেন নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে। ফলে ফেসবুকে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয় ছবিগুলো নিয়ে। ইতোমধ্যে প্রশাসন ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিলবোর্ডে স্থান পেয়েছে সাঈদ রিমনের এমন কিছু স্থিরচিত্র। ছবিগুলো দেখে মানুষ কিছুটা হলেও সচেতন হয়েছেন। তিনি আশা করেন, ধীরে ধীরে মানুষ আরও সচেতন হয়ে উঠবে।

in

ছবি তোলা প্রসঙ্গে সাঈদ রিমন বলেন, ‘এ ধরনের ছবির মাধ্যমে মানুষের কাছে কিছু বার্তা পৌঁছাতে চাই। যেমন- শ্রমিকদের প্রতি সহনশীল আচরণ করুন। দেখা যায়, শ্রমিকদের সামান্য ভুল-ভ্রান্তিতে আমরা গায়ে হাত তুলি বা মা-বাবা তুলে গালি দেই। আসুন আমরা এ ধরনের আচরণ পরিহার করি। কারণ তারা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে উপার্জন করেন।’

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com