আমি এ কিট নিয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরতে পারব না: জাফরুল্লাহ চৌধুরী
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের উদ্ভাবিত কিট নিয়ে ‘দ্বারে দ্বারে ঘুরতে পারব না’ বলে মন্তব্য করেছেন এর ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেন, সরকারের জাতীয় ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর যা করেছে তার বিচারের ভার আমি দেশের জনগণের ওপর ছেড়ে দিয়েছি।
বুধবার এসব জানান জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
তিনি বলেন, ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর বললে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল তা গ্রহণ করত। কিন্তু তারা লিখিত না দেওয়ায় হাসপাতাল নিতে পারছে না। আমি এ কিট নিয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরতে পারব না।
জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, গণস্বাস্থ্যের উদ্ভাবিত করোনাভাইরাস শনাক্তকরণ কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষা করে দেখতে ৮০০ কিট চেয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণবিষয়ক সংস্থা সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি)। দু-এক দিনের মধ্যে তাদের এ কিট দেওয়া হবে। সিডিসি লিখিতভাবে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কিটের সক্ষমতা পরীক্ষা করতে চেয়েছে।
এর আগে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের করোনাভাইরাস শনাক্তের কিট পরীক্ষা করে দেখবে বলে জানান কেন্দ্রের এক চিকিৎসক।
তবে এ বিষয়ে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে নিতে হলে সরকারকে অনুরোধ করতে হবে।
তিনি বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দেশে সরকারের সঙ্গে কাজ করে। যেহেতু সরকার নেয়নি সেহেতু তারাও হস্তান্তর অনুষ্ঠানে আসেনি। সরকার চাইলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনা শনাক্তের কিট নেবে।
জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, এই কিট সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় তথ্য বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ সেন্টারে (বিএমআরসি) জমা দিয়েছে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র। কিটের সক্ষমতা কতটা, সে বিষয়ে পরীক্ষার জন্য বিএমআরসি ব্যবস্থা নেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এর আগে শনিবার সরকারকে কিট হস্তান্তরের জন্য আনুষ্ঠান আয়োজন করে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র করে। তবে ওই দিন সরকারের কেউ কিট গ্রহণের জন্য আসেনি।
পরে রবিবার গণস্বাস্থ্যের পক্ষ থেকে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরে করোনা শনাক্তের কিট নিয়ে গেলেও কেউ সেটি গ্রহণ করেনি।
এরপর রবিবার ওষুধ প্রশাসন জানায়, তারা যথাযথ নিয়ম মেনে গণস্বাস্থ্যের কিট পরীক্ষার বিষয়ে আগ্রহী।