গার্মেন্টস-রেস্টুরেন্ট খুলে দেয়ায় মহিলা পরিষদের উদ্বেগ
করোনা পরিস্থিতি ঝুঁকিপূর্ণ থাকা সত্ত্বেও পোশাক কারখানা এবং খাবারের রেস্টুরেন্ট খোলা রাখার ঘোষণায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ।
বুধবার (২৯ এপ্রিল) বিকেলে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম এবং সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু এক যৌথ বিবৃতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
বিবৃতিতে তারা বলেন, আমরা গভীর বিস্ময় ও উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি যে, দেশে করোনা দুর্যোগের মধ্যে যখন একদিকে সরকার লকডাউনের ঘোষণা দিয়েছে, সাধারণ জনগণকে ঘর থেকে বের না হওয়ার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর রয়েছে, প্রতিদিন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে, ঠিক সেই রকম সময়ে পোশাক কারখানা এবং প্রতিষ্ঠিত খাবারের রেস্টুরেন্ট সীমিত পরিসরে খোলার ঘোষণায় সরকারের বিভিন্ন বিভাগের মধ্যে প্রকট সমন্বয়হীনতার যে চিত্র পরিলক্ষিত হচ্ছে, তা আমাদের বিস্মিত ও উদ্বিগ্ন করে।
পোশাক কারখানা খোলার ঘোষণা দেয়ায় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে চাকরি হারানো ও বেতন না পাওয়ার ভয়ে, গণপরিবহন না থাকা সত্ত্বেও অনেক কষ্ট করে, কখনো কখনো পায়ে হেঁটে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে পোশাক শ্রমিকদের ঢাকা অভিমুখে ছুটে আসা এবং তাদেরকে ঢাকায় ঢুকতে না দেয়ার যে চিত্র আমরা দেখছি তা অত্যন্ত অমানবিক। এর ফলে লকডাউনের কার্যকারিতা হ্রাস পাবে। ফলে পোশাক শ্রমিকদের মধ্যে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বৃদ্ধি পাচ্ছে যা সাধারণ জনগণের মধ্যেও ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ার আশংকা তৈরি করছে। একইভাবে খাওয়ার দোকান খোলার ফলে বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন আসবে যা সামাজিক দূরত্ব ও লকডাউনকে নাজুক অবস্থানে নিয়ে যাবে।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ অবিলম্বে সরকারের বিভিন্ন বিভাগের মধ্যে সমন্বয় আরও জোরদারের দাবি জানাচ্ছে। একই সঙ্গে সকলকে এই মহামারি প্রতিরোধে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান করছে।