ত্রাণ চোরদের বাড়িতেও লাল পতাকা টাঙিয়ে দিন
‘চুরি বিদ্যা বড় বিদ্যা যদি না পড় ধরা।’ চুরি করা যাদের স্বভাব, চুরি ছাড়া যারা থাকতে পারে না- এমনই কিছু চোরের আবির্ভাব ঘটেছে করোনাভাইরাসের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে। জাতীয় দুর্যোগের সময়ও একই অবস্থা এসব চোরের।
অথচ এই চোর জনপ্রতিনিধিরাই সংশ্লিষ্ট এলাকায় ছাত্র-চাকরিপ্রত্যাশীদের চারিত্রিক সনদ দিয়েছিল। চোরদের কাছ থেকে সনদ নিয়ে তা কতটুকু ফলপ্রসূ হবে। সময় এসেছে পালাবদলের।
ঘুষখোর, দুর্নীতিবাজ, চোরাকারবারি, মুনাফাখোরি বাংলার দুঃখী মানুষের জীবনকে অতিষ্ঠ করে দিয়েছে। চাল-তেল চুরির সঙ্গে আরও কিছু বিষয় জড়িত থাকে। আত্মপক্ষ সমর্থন করে তারা বলেছেন, খাদ্যগুদাম থেকে ওজনে কম চাল দেয়। সরকারি চাল, টিসিবির তেল তুলতে গেলে টেবিলে টেবিলে টাকা দিতে হয়।
টাকা ছাড়া চাল-তেল ছাড় হয় না, যার রয়েছে নির্দিষ্ট রেট। বিষয়টি একেবারেই ফেলে দেয়ার মতো নয়। ১০ টাকা কেজি দরে চাল, টিসিবির তুলতে যদি গুদাম ও কর্মকর্তাদের চুরির ভাগ দিতে হয় তাহলে কীভাবে তারা সঠিক চাল-তেল দেবে? কোনো ব্যবসায়ী বা জনপ্রতিনিধি তো বাড়ি থেকে এনে দেবে না। সরকারি বরাদ্দ তুলতে যে স্তরে স্তরে পয়সা গুনতে হয়, তার খরচ তারা প্রান্তিক গ্রাহকদের কাছ থেকে মেটাবে- এটাই স্বাভাবিক। তবে গোড়া কেটে আগায় পানি ঢাললে গাছ যেমন বাঁচে না, তেমনি প্রান্তিক চোরদের না ধরলে উদ্দেশ্য সফল হবে না। বেড়া ফসল খাচ্ছে তাই পদক্ষেপ দুদককেই নিতে হবে।
চাল চোরদের ধরা হচ্ছে, বরখাস্ত করা হচ্ছে, লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধার করা হচ্ছে এবং তাদের শাস্তি দেয়া হচ্ছে। আগামীতেও তাদের রেহাই নেই। তাদের সামাজিকভাবেও নিষিদ্ধ করতে হবে। করোনায় বিদেশ ফেরত ও বাইরের জেলা থেকে আগতদের বাড়িতে লাল পতাকা উড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে প্রশাসনের পাশাপাশি মানুষ এখন ঐক্যবদ্ধ।
চাল চোরদের এখনই যদি সমন্বিতভাবে প্রতিহত না করা যায় তাহলে আগামীতে এরা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠবে। চোরদের ছবিসহ নামের তালিকা করে তা গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় টাঙিয়ে রাখতে হবে। বর্তমানে করোনাকে কেন্দ্র করে যারা ত্রাণ চুরি করছে, তাদের বাড়িতেও লাল পতাকা টাঙিয়ে দিন। লিখে দিন- এটা চাল-তেল চোরের বাড়ি।