পরিস্থিতি নতুন করে ভয়াবহ হতে পারে, বাংলাদেশকে সতর্ক করল আইএলও

0

দেশের করোনা পরিস্থিতির স্বাভাবিক না হলেও গার্মেন্টস স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছে। ইতোমধ্যে শত শত কারাখানা খুলে দেয়া হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ সতর্ক করেছে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও)।

সংস্থাটি বলছে, পর্যাপ্ত স্বাস্থ্য সুরক্ষার ব্যবস্থা না করে শ্রমিকদের কাজে ফিরিয়ে আনা হলে করোনাভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় দফা ঢেউ আসতে পারে।

বলে সতর্ক করে দিয়ে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) মহামারির সময়ে কয়েকটি সুপারিশ তুলে ধরেছে।

মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) সংস্থাটির জেনেভা অফিস থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ সতর্ক বার্তা দেয়া হয়। এতে কয়েকটি সুপারিশও তুলে ধরেছে তারা।

বিবৃতিতে আইএলওর মহাপরিচালক গাই রাইডার বলেন, কর্মী বাহিনীর সুরক্ষা এবং স্বাস্থ্য আজ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। একটি সংক্রামক রোগের প্রাদুর্ভাবের মুখে আমরা কীভাবে আমাদের কর্মীদের সুরক্ষা দিচ্ছি, আমাদের সম্প্রদায়গুলো কতটা নিরাপদ এবং আমাদের ব্যবসায়গুলো কতটা স্থিতিশীল, তার ওপর এই মহামারির প্রভাব নির্ভর করছে।

এ জন্য তিনি স্বাস্থ্যকর্মীসহ জরুরি সেবায় নিয়োজিত লোকজনের যথাযথ স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার তাগিদ দিয়েছেন।

বিবৃতিতে বাংলাদেশ প্রেক্ষাপটে আইএলওর বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর টুমো পটিআইনেন বলেন, আইএলও বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে নিরাপদে কাজে ফিরে আসা নিশ্চিত করতে একটি তিন ধাপের কৌশল তৈরি করেছে।

প্রথম পদক্ষেপ হলো- নিয়োগকারী ও শ্রমিকের মধ্যে আলোচনার ওপর ভিত্তি করে কাজের জন্য বেশ কয়েকটি সুরক্ষা ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থা গ্রহণ এবং করোনাভাইরাসের ঝুঁকি ভাগ করে নেওয়া।

টুমো পটিআইনেন বলেন, আইএলও শ্রম মন্ত্রণালয়ের অধীন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের (ডিআইএফই) সঙ্গে মিলে একটি কোভিড-১৯ বিষয়ক নির্দিষ্ট নির্দেশিকা তৈরি করেছে। এ ছাড়া আইএলও আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক খাতের কর্মীদের জন্য জীবিকা ভাতা, প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা ও আয়ের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থা ছাড়াও কাজ ভাগাভাগির মাধ্যমে কর্মসংস্থান ধরে রাখার পরামর্শ দিচ্ছে।

আইএলওর সুপারিশ গুলো হলো:
১. সব কাজের ক্ষেত্রে বিপদ নির্ধারণ করা। সংক্রমণের ঝুঁকিগুলো নির্ধারণ করা এবং কাজে ফিরে আসার পরও সেগুলো নির্ধারণ অব্যাহত রাখা।

২. প্রতিটি খাত ও প্রতিটি কর্মক্ষেত্রে সুনির্দিষ্টভাবে অভিযোজিত ঝুঁকি নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা। এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে: শ্রমিক, ঠিকাদার, গ্রাহকের কর্মক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, ভেন্টিলেশন ব্যবস্থার উন্নয়ন, নিয়মিত মেঝে পরিষ্কার করা, পুরো কর্মস্থল পরিষ্কার ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিশ্চিত করা, হাত ধোয়া এবং স্যানিটাইজেশনের জন্য পর্যাপ্ত সুযোগ সরবরাহ করা।

৩. যেখানে প্রয়োজন সেখানে বিনা মূল্যে কর্মীদের ব্যক্তিগত সুরক্ষামূলক সরঞ্জাম (পিপিই) সরবরাহ করা।

৪. কারও মধ্যে লক্ষণ দেখা দিলে তাকে পৃথক করা এবং কার কার সঙ্গে তার যোগাযোগ হয়েছে, তা খতিয়ে দেখা।

৫. কর্মীদের জন্য মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তা প্রদান।

৬. সঠিক স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার অনুশীলন এবং কর্মক্ষেত্রে পিপিইর ব্যবহারসহ স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা সম্পর্কে প্রশিক্ষণ, শিক্ষা ও তথ্য উপাদান সরবরাহ করতে হবে।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com