কৃষক লীগের বিরুদ্ধে ধান কাটার নামে ফটোসেশনের অভিযোগ
জবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার বহরপুর ইউনিয়নের আশ্রয়ণ প্রকল্পের আবদুল মোমেনের ধান কাটতে গিয়ে ফটোসেশন করে ধানের ক্ষেত নষ্ট করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আবদুল মোমেনের স্ত্রী আসমা বেগম অভিযোগ করেন, আমাদের ভাড়া করে আনা আটজন কৃষকের কাজ বন্ধ রেখে ধান কাটার নামে ফটোসেশন করে ধানক্ষেতের ক্ষতি করেছে কৃষকলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নূরে আলম সিদ্দিকী হকসহ নেতাকর্মীরা।
রোববার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার ধান কাটা কর্মসূচির উদ্বোধন করতে যান কৃষকলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নূরে আলম সিদ্দিকী হক, জেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর খান, বালিয়াকান্দি উপজেলা কৃষকলীগের আহ্বায়ক সিরাজুল ইসলাম, যুগ্ম আহবায়ক আবদুল মতিন, রাজবাড়ী সদর উপজেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক আলাল উদ্দীন, সদস্য দুলাল শেখ নেতাকর্মীরা।
বালিয়াকান্দি আশ্রয়ণ প্রকল্পের কৃষক আবদুল মোমেনের ছেলে রানা বলেন, রাজবাড়ী জেলায় লকডাউন থাকার কারণে কোথাও কোনো কৃষক না পাওয়ায় অনেক কষ্টে তারা আট জন শ্রমিক জোগাড় করেছিলাম। জমির বর্গা অংশের ৫৫ শতাংশ জমির ধান কাটতে যাচ্ছিলাম। এর মধ্যে রাজবাড়ীসহ বালিয়াকান্দি উপজেলার কৃষকলীগের নেতারা আমাদের বাড়িতে এসে ভাড়া করা শ্রমিকদের বসিয়ে রেখে ধান কাটা শুরু করেন। অনেকক্ষণ সময় নিয়ে তারা ফটো-সেশন করতে থাকে এতে করে ক্ষেতের অনেক ধান নষ্ট হয়ে যায়।
তাছাড়া ধান কাটার অভিজ্ঞতা তাদের না থাকায় আমাদের ব্যাপক পরিমাণ ধান পানির মধ্যে পড়লে ভাড়া করা আটজন কৃষক দিয়ে সেই ধান কুড়াতে হয় বলে তিনি জানান।
এ বিষয়ে নূরে আলম সিদ্দিকী হক বলেন, কেন্দ্রীয়ভাবে রাজবাড়ীর জেলার ৪২টি ইউনিয়নের কৃষকলীগের নেতাকর্মীদের ধান কাটার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তাছাড়া কোনো কৃষক যদি ধান কাটার জন্য শ্রমিক না পান তাহলে আমাদের কৃষকলীগের নেতাকর্মীদের বললে তারা ধান কেটে বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে আসবে।
আপনার নেতারা ধান কাটতে গিয়ে ধান নষ্ট করেছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের নেতারা সুন্দর করে গুছিয়ে কৃষক মোমেনের ধান কেটে দিয়েছে। এতে করে তার বেশি সন্তুষ্ট হওয়ার কথা।