আবরার হত্যায় প্রতিবাদী কণ্ঠ ছিলেন অধ্যাপক জামিলুর রেজা
ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের হাতে নির্মমভাবে নিহত বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যার ঘটনায় প্রতিবাদী কণ্ঠ ছিলেন প্রয়াত শিক্ষাবিদ ও প্রকৌশলী অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী।
আবরার হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবিতে ওই সময় উপাচার্য অধ্যাপক সাইফুল ইসলামের অপসারণও দাবি করেছিলেন তিনি।
গত বছরের অক্টোবরে ভারতের সঙ্গে চুক্তির বিরোধিতা করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়ার জেরে আবরারকে পিটিয়ে হত্যা করেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। পরে তার লাশ সিঁড়িতে ফেলে রাখা হয়।
এ ঘটনার পর নির্মম এই হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবিতে বুয়েটসহ ফুঁসে ওঠে পুরো দেশ। আবরার হত্যার বিচার দাবিতে আন্দোলনে নামে বুয়েট অ্যালামনাই।
সেই সময় বুয়েট অ্যালামনাইয়ের সভাপতি হিসেবে ড. জামিলুর রেজা চৌধুরী নৃশংস এ হত্যাকাণ্ডের বিচার চেয়ে বুয়েট উপাচার্য অধ্যাপক সাইফুল ইসলামের পদত্যাগ দাবি করেন।
এ ছাড়া চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসেও ‘বুয়েট অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন’-এর গ্র্যান্ড রিইউনিয়ন-২০২০ অনুষ্ঠানে আবরার হত্যা নিয়ে কথা বলেন জাতীয় এ অধ্যাপক।
সেখানে তিনি বুয়েট প্রতিষ্ঠার ১৫৪ বছরের ইতিহাসে আবরার ফাহাদ হত্যার ঘটনাকে নির্মম বলে মন্তব্য করেন।
অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী বলেন, বুয়েট প্রতিষ্ঠার ১৫৪ বছরে আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা সবচেয়ে মর্মান্তিক ও মারাত্মক। সারা দেশ এবং সারাবিশ্বে এ ঘটনা আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। আশা করছি এর সুষ্ঠু ও কার্যকরী বিচার হবে।
প্রসঙ্গত সোমবার রাত ২টার দিকে ঘুমের মধ্যে ‘ম্যাসিভ হার্টঅ্যাটাক’ হয় অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরীর। ভোর ৪টার দিকে তাকে স্কয়ার হাসপাতালে নেয়া হলে ততক্ষণে না ফেরার দেশে চলে যান এই অধ্যাপক। তার বয়স হয়েছিল ৭৭ বছর।