বরিশালে ত্রাণের দাবিতে সড়ক অবরোধ
প্রশাসনের আশ্বাসের পরিপেক্ষিতে ত্রাণ না পাওয়ায় পুনরায় ত্রাণের দাবিতে সড়ক অবরোধ করেছেন বরিশাল নগরীর পশ্চিম কাউনিয়া এলাকার কর্মহীন কয়েক শতাধিক নারী পুরুষ।
আজ শুক্রবার (২৪ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে থেকে ১২টা পর্যন্ত লাকুটিয়া সড়ক আটকে দিয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে।
এসময় কর্মহীন অসহায় আন্দোলনরত দুস্থরা অভিযোগ প্রশাসনের কাছে বলেন করোনা ভাইরাসের কারণে ২৫ই মার্চ থেকে কাজ বন্ধ থাকায় পরিবার পরিজন নিয়ে অনেকটা অনাহারে দিন কাটাচ্ছে। এ ব্যাপারে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কাছে আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ তাদের ত্রাণ দেওয়ার কথা বলে ভোটার আইডিকার্ড ও নাম ঠিকানা, মোবাইল নাম্বার নিয়ে যায়। কিন্তু প্রায় ১ মাস অতিবাহিত হয়ে যাবার পরও তাদেরকে কোন ত্রাণ সহোযোগীতা করেনি।
তারা অভিযোগ করেন ১ নং ওয়ার্ডের অন্যান্ন এলাকায় অনেকেই ত্রাণ পেয়েছে। কিন্তু পশ্চিম কাউনিয়া কেন্দ্রীয় বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব ও মহানগর বিএনপির সভাপতির মজিবর রহমান সরোয়ারের নিজস্ব এলাকা হওয়ার কারণে তাদেরকে ত্রাণ থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে।
তারা আরও অভিযোগ করে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের বলেন ত্রাণের জন্য কাউন্সিলর আমির হোসের কাছে গেলে তখন তিনি বলেন আমি তোমাদের ভোটে হই নাই বলে বিদায় করে দেয়।
সড়ক অবরোধের সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ রাখতে ছুটে যান অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) আবুল কালাম আজাদ, কাউনিয়া থানা সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) আঃ হালিম, এয়ারপোর্ট থানা ওসি জাহিদ বীন আলম সহ একদল পুলিশ সদস্য।
এ ব্যাপারে স্থানীয় কাউন্সিলর মো. আমির হোসেন বিশ্বাষের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি ভোট না পেলে হলাম কি করে। এসব কথা কোন কাউন্সিলর বলে। আমার বিরুদ্ধে প্রতিপক্ষরা এদের দিয়ে এসব অপপ্রচার চালাচ্ছে। তাছাড়া এলাকায় সাড়ে ১১ হাজার ভোটার ছাড়াও এখানে শিল্প এলাকা সহ বিভিন্ন কল-কারখানার বাহিরের শ্রমীক রয়েছে আমাদের মেয়র মহাদয় ত্রাণ দিচ্ছে প্রর্যায়েক্রমে এরাও পাবে।
উলেখ্য গত রবিবার (১৯ই এপ্রিল) ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি সুমন বলেন বিসিসি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ কর্মহীন ৪০ হাজার মানুষেরর জন্য ত্রাণ সহযোগীতার কার্যক্রম চালাচ্ছে। ইতিমধ্যে প্রায় ২০ হাজারের অধিক মানুষের দোরগোড়ায় এই ত্রাণপৌছে দিয়েছে। ১ নং ওয়ার্ডের অধিকাংশ ঘরে ত্রান পৌছে গেছে। তবে পশিম কাউনিয়া এলাকার মানুষ এখনও ত্রান পায়নি। এটা একটি চলমান কার্যক্রম অতিশিগ্রই তারাও ত্রাণ পাবে বলে তিনি জানান।
এদিকে বিসিসি প্রশাসনিক কর্মকর্তা কাজী মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, মেয়র মহাদয় ৩০ই মার্চ থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সাড়ে ৩৭ হাজার পরিবারের মাঝে প্রতি রাতে ত্রাণ পৌছে দেয়া হচ্ছে। ত্রাণ পায় নাই এমন কথা কেহ বলতে পারবে না। অনেকে দুই,তিনবার পেয়েছে।
এর পূর্বে এয়ারপোর্ট থানার অতিরিক্ত উপ- পুলিশ (উত্তর) কমিশনার আবুল কালামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন আমরা ত্রাণ দেবার কেহ না। যাতে আইন শৃঙ্খলা অবনতি না ঘটে সেকারনেই বিক্ষুদ্ধদের শান্তনা দিয়ে বলেছি আপনারা প্রর্যায়ে কমে পাবেন। মননীয়া প্রধানমন্ত্রী নিজেই বলেছের কেহ ত্রাণ থেকে বঞ্চিত হবে না। আমরা এ ছাড়াতো কিছু বলতে পারি না। তার পরেও আমাদের পক্ষ থেকে উর্ধ্বতোন কর্মকর্তাদের বিষয়টি অবহিত করেছি। তারা তালিকা করা হচ্ছে প্রর্যায়ে ক্রমে পাবেন।