রূপগঞ্জে কৃষকের ধান কাটছে ছাত্রদল
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে কৃষকদের পাশে দাঁড়ালো উপজেলা ছাত্রদল ও সেচ্ছাসেবক দলের নেতা কর্মীরা। উপজেলার গরীব ও বর্গা চাষিদের পাকা ধান কেটে দিচ্ছেন তারা । বৃহস্পতিবার থেকে উপজেলার কায়েতপাড়া ইউনিয়নের নগরপাড়া বিলের দুজন কৃষকের পাকা ধান কাটার মাধ্যমে এই কার্যক্রম শুরু হয়।
ধান কাটতে আসা উপজেলা ছাত্রদল নেতা আবু মোহাম্মদ মাসুম বলেন, “এটা আহামরি কোন বিষয় নয়, আমরা আদর্শিক রাজনীতি করি। এছাড়া শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভালবাসার প্রতিক সোনার বাংলার পাক ধান নষ্ট হচ্ছে কেবল শ্রমীক না পাওয়ার কারনে। ধানের শীষের প্রতি তীব্র ভালবাসা আমাদের ফসলের জমিতে শ্রম দিতে আসতে বাধ্য করেছে। আমরা ধান কাটার পর মাড়াই ও কৃষকের বাড়িতে ফসল পৌছে দিবো।
আরেক ছাত্রদল নেতা আজিম সরকার বলেন,”করোনা পরিস্থিতিতে জাতি এক ধরণের ক্রান্তিকাল পার করছেন। এমন সংকটেই যদি সাধারন মানুষের পাশে দাঁড়াতে না পারি তাহলে আমাদের রাজনীতি অর্থহীন। সেচ্ছাসেবক দল নেতা আলী হোসেন জানান, দলের নেতাকর্মীদের নিয়ে স্বেচ্ছাশ্রমে গরীব চাষিদের পাকা ধান কেটে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছি এবং এটা চলমান থাকবে।
ধান কাটায় অংশগ্রহণ করেন, সুলতান মাহমুহ, শিপলু হোসেন, হীরা নাঈমসহ ৩০ জন সেচ্ছাসেবী।
উপকার পাওয়া কৃষক বিল্লাল হোসেন জানান, “ধান কাটা নিয়ে খুব চিন্তায় ছিলাম। হঠাৎ বিএনপি ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের ধান কাটতে আসলে বিশ্বাসই হচ্ছিলো না। যেখানে দ্বিগুণ পারিশ্রমিক দিয়ে শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছিলো না। সেখানে তারা শুধু পানি পান করানোর বিনিময় আমার দেড় বিঘা জমির ধান কেটে দিয়েছে। এছাড়া ধান বাসায় পৌছে দেয়া ও মাড়াই করারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তারা। তাদের পাশে পাওয়ায় সত্যিই আমরা নগরপাড়ার কৃষকরা আনন্দিত।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা তাজুল ইসলাম জানান, রূপগঞ্জ উপজেলায় এবছর ৭ হাজার ১৫ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। যার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা এখনো নির্ধারন করা হয়নি । করোনা পরিস্থিতিতে কৃষকরা পাকা ধান কাটা নিয়ে বড় ধরনের কোন অসুবিধায় না পড়লেও বাইরে থেকে যেসব শ্রমিক আসছিলো না। অবশ্য উপজেলার বেকার কর্মহীন মানুষ ধান কাটার শ্রমিক হিসেবে কাজ করছে। এছাড়া রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা সেচ্ছাশ্রমে ধান কেটে দিচ্ছে। দেশের এই সংকটের সময় বিনা পারিশ্রমিকে স্বেচ্ছাশ্রমে এভাবে ধান কেটে দেওয়ায় খুশি সাধারন এলাকাবাসী ও কৃষকরা।