এইবার বাঁচাও, সামনে আবারো কার্ড করে দেব, চার আনাও লাগবে না
মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আব্দুর রহমান মোল্যার বিরুদ্ধে দুস্থ মহিলা উন্নয়ন কর্মসূচীর (ভিজিডি) ৪৫০ কেজি চাল আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সম্প্রতি চাল আত্মসাতের বিষয়টি প্রশাসনের গোচরে এলে ওই ইউপি সদস্য কার্ডধারীকে কার্ডটি ফেরৎ দেন। চাল আত্মসাতের বিষয়টি ওই ইউপি সদস্য আব্দুর রহমান মোবাইল ফোনে স্বীকার করেছেন।
জানা যায়, করোনাভাইরাসের সংক্রমণরোধে ঘরবন্দি মানুষ। মানুষের খাদ্য সহায়তা নিশ্চিত করতে প্রশাসন কাজ করে যাচ্ছে। এ সময় দরিদ্রদের জন্য খাদ্যবান্ধব কর্মসূচী, ত্রাণ, ভিজিডিসহ বিভিন্ন বিষয় নিশ্চিত করতে যাচাই-বাছাই করছে প্রশাসন। ইতোমধ্যে দুস্থদের খাদ্য সহায়তা পাওয়ার বিভিন্ন সমস্যা বের করে পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে প্রশাসন। এরই মধ্যে ওই ইউপি সদস্যের চাল চুরির বিষয়টি বেরিয়ে আসে।
কার্ডধারী কহিনুর বেগম অভিযোগ করে বলেন, আমার স্বামী ১০ বছর ধরে প্যারালাইজড। কাজ করতে পারেন না। অভাব অনটনে সংসার চলে। ইউপি সদস্য আব্দুর রহমান আমার নামে একটি ভিজিডি চালের কার্ড করে দিতে চান। এ বাবদ তিনি দুই হাজার টাকাও নেন। পরে আমার নামে কার্ড হয়নি জানিয়ে তিনি টাকা ফেরত দিয়ে দেন। কয়েক দিন আগে তিনি আমাকে আমার নামে ১৫ মাস চাল ওঠানো একটি ভিজিডি কার্ড দিয়ে বলেন, তুমি এ বারের মতো আমারে বাঁচাও। সামনের বছর তোমাকে আবারো কার্ড করে দেব। তোমার চার আনাও লাগবে না।
ইউপি সদস্য আব্দুর রহমান চাল আত্মসাতের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, যে চাল নিয়েছি তা ফেরত দিয়ে দেব।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: মিজানুর রহমান জানান, ওই ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।