শনিবার হস্তান্তর করা যাবে কিট
যথাসময়ে রক্তের নমুনার (স্যাম্পল) অভাবে সরকারকে কিট দিতে পারছে না গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র। কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী জানান, কিট উৎপাদনে সফল হতে হলে করোনায় আক্রান্ত অন্তত ১০ জনের রক্ত নমুনা দরকার। এ জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে আবেদনও করা হয়েছে। কিন্তু মন্ত্রণালয়ের আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে তা সম্ভব হচ্ছে না। তিনি বলেন, রোগীদের কাছ থেকে নমুনা আমরা সরাসরি নিতে চাইলেও বাধা দেওয়া হচ্ছে। অথচ অনেক রোগীই স্বেচ্ছায় রক্ত নমুনা দিতে চান। বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে গতকাল বিকালে এক আলাপচারিতায় ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, এখন তিনি আশাবাদী যে, শনিবার ২৫ এপ্রিল কিট দেওয়া সম্ভব হবে। বেলা ১১টায় ধানমন্ডিতে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র হাসপাতালে কিট হস্তান্তর অনুষ্ঠান হবে। ১০টি প্রতিষ্ঠানকে কিট দেবে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র। এগুলোর মধ্যে রয়েছে ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা, আইইডিসিআর, আইসিডিডিআরবি, সেনা প্যাথলজি ল্যাবরেটরি, বিএসএমএমইউ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক (সিডিসি) সেন্ট্রাল ফর ডিজিজ কন্ট্রোল। কিট উৎপাদনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন পেতে প্রয়োজন ৭০ শতাংশের কিছু উপরে। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কিটের প্রাথমিক পরীক্ষায় ৯৫ ভাগের বেশি সফল।
তবে পুরো বিশ্বকে চমকে দিতে শতভাগ সফলতার চেষ্টায় তাদের বিজ্ঞানীরা কাজ করছেন। চূড়ান্ত অনুমোদন দিলে প্রথম দফায় ১০ হাজার কিট হস্তান্তর করা হবে। এরপর আরও কিছুদিন সময় নিয়ে প্রায় লাখ খানেক কিট উৎপাদন করতে পারবে। পরে যদি আরও প্রয়োজন পড়ে সরকার সহযোগিতায় এগিয়ে এলে কেন্দ্রটি ২ কোটি পরিমাণ কিটও উৎপাদনে সক্ষম। ট্যাক্সমুক্ত থাকলে এই কিট ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকায় পাওয়া যাবে। মাত্র পনের মিনিটেই কভিড-১৯ আছে কি না পরীক্ষা করা সম্ভব। ডা. জাফরুল্লাহ প্রতিটি গ্রামে গ্রামে ওয়ার্ড বা ইউনিয়ন পর্যায়ে কিট পৌঁছে দিতে চান যাতে একদিনের প্রশিক্ষণ নিয়েই সবাই যেন কভিড-১৯ পরীক্ষা করতে পারে। তিনি বলেন, যত পরীক্ষা হবে ততই দেশের মঙ্গল। রোগ শনাক্ত করা গেলে দেশের প্রকৃত চিত্র জানা যাবে এবং সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও গ্রহণ করা যাবে।