আবরার হত্যা: ছাত্রলীগ থেকে ১১ জন বহিষ্কার
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যার ঘটনায় সংশ্লিষ্টতা পাওয়া ১১ জনকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করেছে ছাত্রলীগ। সোমবার রাতে সংগঠনটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টচার্য স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বহিষ্কৃতরা হলেন, বুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল, সহসভাপতি মুহতাসিম ফুয়াদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান রবিন, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অনিক সরকার, ক্রীড়া সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন, সাহিত্য সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির, উপ-সমাজসেবা সম্পাদক ইফতি মোশাররফ সকাল, উপ-দফতর সম্পাদক মুজতবা রাফিদ, মুনতাসির আল জেমি (সদস্য), এহতেসামুল রাব্বি তানিম (সদস্য)ও মুজাহিদুর রহমান (সদস্য)।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে সাম্প্রতিক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটির নিকট প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে উক্ত ঘটনায় সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে তাদের স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হলো।’ এর আগে, সোমবার দিনের বেলা বাংলাদেশের ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে বুয়েটের ঘটনার তদন্তে দুই সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছিল। সেই তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে রাতেই এই বহিষ্কারাদেশ দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, রবিবার রাতে বুয়েটের আবাসিক হলে বেদম প্রহারে আবরার ফাহাদের মৃত্যু হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শেরে বাংলা হলের নিচতলা ও দোতলার সিঁড়ির করিডোর থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত আবরার বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি শেরে বাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে থাকতেন।
এ ঘটনায় সোমবার রাতে আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে এ ১৯ জনকে আসামি করে রাজধানীর চকবাজার থানায় একটি মামলা করেন। হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে বুয়েটের কয়েকজন ছাত্রকে পুলিশ আটক করা হয় বলে জানিয়েছেন ডিএমপি’র অতিরিক্ত কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়। ওসি জানান, আটককৃতদেরও এ মামলায় আসামি করা হয়েছে।