কিছু মানুষের শেষ ঠিকানা শুধু জমিনে হয় না; হয় অন্য হাজারো মানুষের অন্তরে : আসিফ নজরুল
কিছু মানুষের শেষ ঠিকানা শুধু জমিনে হয় না; হয় অন্য হাজারো মানুষের অন্তরে : আসিফ নজরুল
ড. আসিফ নজরুল তার ফেসবুকে লিখেছেন, ” কিছু মানুষের শেষ ঠিকানা শুধু জমিনে হয় না।
হয় অন্য হাজারো মানুষের অন্তরে।
ডাঃ মঈন উদ্দিন আপনিও চিরদিন থাকবেন আমাদের হৃদয়ে।
সব ভালো মানুষ এ পৃথিবীতে সুবিচার পাননা
তারা পান আল্লাহ্-র কাছে, আপনিও পাবেন দোয়া করি।
আর সব অমানুষ এ পৃথিবীতে শাস্তি পায়না।
তবে দোয়া করি আপনার মৃত্যু যাদের অবহেলায় কিছু শাস্তি যেন তারা পায় এ দুনিয়াতেই।
ভালো থাকবেন গরীবের ডাক্তার!
ভালোবাসা আপনার জন্য।”
উল্লেখ্য, একজন মানবিক ডাক্তার ছিলেন ডা. মইনউদ্দিন। রোগীই ছিলো তার কাছে সব। নিজে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত তিনি রোগীর সেবায় ব্যস্ত ছিলেন। ওসমানীর ওয়ার্ড, ইবনে সিনার চেম্বার, গ্রামের বাড়িতে রোগী দেখা- সবখানেই ব্যস্ত ছিলেন তিনি। এই সময়েও তিনি অবিরাম সেবা দিয়ে গেছেন রোগীদের। আর সেবার কারণেই অজান্তে কোথাও থেকে করোনা সংক্রমিত হয়েছিলেন তিনি। প্রাণঘাতি করোনা সব মায়াজাল বিচ্ছিন্ন করে নিয়ে গেলো পড়পাড়ে। ডা. মইনউদ্দিনের জন্য কাঁদছে সিলেট।
কাঁদছে মানুষ। মানবতার ডাক্তারের জন্য শোকাহত হয়ে পড়েছেন সবাই। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বইছে শোকের মাতম। পরিচিত জনেরা তো আর্তনাদ করছেন। সবখানেই নেমেছে পিনপতন নিরবতা। ডা. মইন উদ্দিন। সিলেটের সন্তান। নিজের স্বপ্ন ছিলো সিলেটের মানুষকে ঘিরে। এ কারনে উচ্চ গ্র্যাজুয়েশনের পরও তিনি সিলেটের মানুষকে সেবা দিতে থাকেন। আমৃত্যু ছিলেন ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক। মেডিসিন, কার্ডিওলজি বিভাগ চষে বেড়াতেন তিনি। ফলে রোগীদের কাছে পরিচিত হয়ে উঠেছিলেন। নিজের চেম্বার ছিলো ইবনে সিনায়। বিকেলে রোগী দেখতেন তিনি সেখানে। রাতে সব ডাক্তাররা যখন ঘরে ফিরে যেতেন তখন তিনি নীরবে এক ‘ঢু’ মারতেন ওসামানীর ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে। সেবা দিতে সময় মানতেন না তিনি।