ঢাকাতেই আক্রান্ত ৪৫৬ জন, দক্ষিণ সিটিতে ছড়াচ্ছে দ্রুত
প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাসে বাংলাদেশে একদিনে আক্রান্ত ও মৃত্যুতে আগের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। গতকাল মঙ্গলবার ২০৯ জন আক্রান্ত হন। এর আগে গতকাল সর্বোচ্চ আক্রান্ত ছিল ১৮২ জন। গতকাল মারা যান ৭ জন। এর আগে গত শুক্রবার একদিনে ৬ জনের মৃত্যু দেখেছিল দেশ। অর্থাৎ গত ৮ মার্চ সর্বপ্রথম বাংলাদেশে করোনা রোগী সনাক্ত হওয়ার পর এই প্রথম গতকাল একদিনে আক্রান্ত ও মৃত্যুতে আগের সব রেকর্ড ভেঙেছে। একইসঙ্গে প্রথম আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা হাজার ছাড়িয়েছে।
বর্তমানে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজার ১২ জন আর মৃতের সংখ্যা গিয়ে পৌঁছেছে ৪৬ জনে। আক্রান্ত ১ হাজার ১২ জনের মধ্যে রাজধানী ঢাকাতেই ৪৫৬ জন। ঢাকা জেলায় ২৮ জন। এর মধ্যে গত কয়েকদিনের জরিপে দেখা যাচ্ছে, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে দ্রুত বাড়ছে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। তবে উত্তর সিটিতে আক্রান্তের হার কিছুটা স্থিতিশীল রয়েছে।
এর মধ্যে রাজধানীর দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ওয়ারী থানায় এখন পর্যন্ত সর্বাধিক রোগী আক্রান্ত হয়েছে। এরপরেই রয়েছে বাবু বাজার, গেন্ডারিয়া, যাত্রাবাড়ী, লালবাগ এলাকাগুলো।
করোনা পরিস্থিতি নিয়ে সরকারের জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) এর ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সবশেষ বুলেটিনে এসব তথ্য উঠে আসে।
আইইডিসিআর-এর ওয়েবসাইট বিশ্লেষণ করে পাওয়া গেছে ঢাকা দুই সিটির কোনও এলাকায় কতজন আক্রান্ত হয়েছেন সেই তথ্য। চলুন পাঠক দেখে নিই একনজরে।
রাজধানীর ওয়ারীতে ২৫ জন, যাত্রাবাড়ীতে ১৯ জন, টোলারবাগে ১৯ জন, লালবাগে ১৮ জন, মোহাম্মদপুরে ১৭ জন, উত্তরায় ১৭ জন, ধানমণ্ডিতে ১৬ জন, তেজগাঁওয়ে ১৫ জন, বাসাবোতে ১৪ জন, গেন্ডারিয়াতে ১২ জন, বাবুবাজারে ১১ জন, মিরপুর ১১ নম্বরে ১১ জন, মিরপুর ১২ নম্বরে ১০ জন, গ্রিন রোডে ১০ জন, বনানীতে আটজন, হাজারিবাগে আটজন, বংশালে সাতজন, আজিমপুরে ছয়জন, বাড্ডায় ছয়জন, চকবাজারে ছয়জন, সূত্রাপুরে ছয়জন, গুলশানে ছয়জন, চকবাজারে পাঁচজন, আদাবরে পাঁচজন, বসুন্ধরায় চারজন, বেইলি রোডে তিনজন, আগারগাঁওয়ে দুজন,আরমানিটোলায় একজন, আশকোনায় একজন, বানিয়ানগরে একজন, বেগুনবাড়িতে একজন, বেড়িবাধে একজন, বসিলাতে একজন, বুয়েট এলাকায় একজন।
ধানমণ্ডির সেন্ট্রাল রোডে একজন, ঢাকেশ্বরীতে একজন, চানখারপুলে একজন, ধোলাইখালে একজন, দয়াগঞ্জে একজন, ইস্কাটনে একজন, ফার্মগেটে একজন, গুলিস্তানে দুইজন, হাতিরঝিলে একজন, হাতিরপুলে তিনজন, ইসলামপুরে দুজন, ঝিগাতলায় চারজন, জুরাইন একজন, কল্যাণপুরে একজন,কামরাঙ্গীরচরে দুইজন, কাজীপাড়ায় একজন,খিলগাঁতে একজন, কদমতলীতে একজন, কোতোয়ালিতে দুজন, কুরিলে একজন, লক্ষ্মীবাজারে দুজন, মালিবাগে চারজন,শান্তিনগরে ছয়জন,শ্যামলীতে একজন, মানিকদিতে একজন,মাতুয়াইলে একজন, মীরহাজারীবাগে দুজন।
এছাড়া মিরপুর ৬ নম্বর সেকশনে দুজন, মিরপুর ১০ নম্বরে পাঁচজন, মিরপুর ১৩ নম্বরে দুজন, মিরপুর ১ নম্বরে ছয়জন,মিরপুর ১৪ নম্বরে পাঁচজন, মিটফোর্ডে একজন, মগবাজারে ১০ জন, মহাখালীতে নয়জন, মতিঝিলে একজন, মুগদায় একজন,নওয়াবপুরে একজন, নারিন্দায় দুজন, নিকুঞ্জতে একজন, পীরেরবাগে দুজন,পুরানা পল্টনে দুইজন, রাজারবাগে ছয়জন, রামপুরাতে দুইজন, রায়েরবাজারে একজন,রায়েরবাগে একজন,সবুজবাগে দুইজন,সায়েদাবাদে একজন, শাহ আলীবাগে দুজন, শাহবাগে দুজন, শান্তিবাগে একজন, শ্যামপুরে একজন, সোয়ারীঘাটে তিনজন, সিদ্ধেশ্বরীতে একজন, শনির আখড়ায় একজন, উর্দু রোডে একজন এবং ভাটারায় একজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়েছে।