এমন দিনে ক্লান্তি কাটাতে যা করবেন
বিশ্রামের দরকার হয় ক্লান্তি কাটানোর জন্য। কিন্তু কখনো কখনো সেই বিশ্রামই ক্লান্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়! যেমনটা আমরা এখন বুঝতে পারছি। সব সময় অবসর পেতে মন কাঁদলেও এখন মন বলছে, এমন অবসর আমি চাইনি! ভবিষ্যত নিয়ে উদ্বিগ্নতা, সংক্রমিত হওয়ার শঙ্কা, আর দীর্ঘ অবসরের ক্লান্তি আমাদের পেয়ে বসেছে।
যারা বাড়িতে থেকে কাজ করছেন তারাও ক্লান্তি কাটাতে কাজের ফাঁকে ফাঁকে মুখে পুরছেন মুখরোচক কোনো খাবার। হতে পারে তা চিপস, চকোলেট বা কুড়মুড়ে কিছু। এতে করে ওজন বাড়ছে তাল মিলিয়ে। বাড়ছে ক্লান্তিও। চনমনে ভাবটা যেন আর ফিরে আসছে না।
এই হঠাৎ পাওয়া অবসরের অবসাদ থেকে নিজেকে মুক্ত করতে চাইলে একমাত্র উপায় হলো শরীর ও মনের ডিটক্স করা। আর এর মাধ্যমেই অস্বাস্থ্যকর অভ্যাস কাটিয়ে বের হতে পারবেন-
যথেষ্ট পানি পান: একটু খেয়াল করে দেখেছেন কি, যেকোনো স্বাস্থ্যকর অভ্যাসের পরামর্শ দিলে বিশেষজ্ঞরা প্রথমেই বলেন পানি পান করার কথা। এর যথেষ্ট কারণও আছে। গরমও বেড়ে গেছে এর ভেতরে। তাই ডিহাইড্রেশন থেকে বাঁচতে নিয়মিত সময়ের ব্যবধানে পানি পান করতেই হবে। পানি আপনার শরীরকে ভিতর থেকে ধুয়ে সাফ করে দেয়, সমস্ত টক্সিন শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। যথেষ্ট পানি পান করলে তার ছাপ ত্বকেও পড়ে, ত্বক টানটান সতেজ থাকে। সারা দিনে অন্তত ১০ গ্লাস পানি পান করবেন।
শরীরচর্চা করুন: বাসায় থেকে যতটুকু শরীরচর্চা করা সম্ভব, করুন। ছাদে বা বারান্দায় হাঁটাহাঁটি করুন দ্রুত পায়ে, স্কিপিংও করতে পারেন। যোগব্যায়াম করলে শরীরের প্রতিটি অঙ্গ সচল থাকবে। প্রতিদিন অন্তত ৪০-৪৫ মিনিট শরীরচর্চার জন্য বরাদ্দ রাখুন।
ডিটক্স ওয়াটার খান: শরীর থেকে দ্রুত টক্সিন বের করে দিতে চাইলে ভরসা রাখুন ডিটক্স ওয়াটারে। প্রতিদিন ডিটক্স ওয়াটার খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। তাই প্রতিদিন নিজের পছন্দের ফল দিয়ে তৈরি করে ফেলুন ডিটক্স ওয়াটার আর ভেতর থেকে সুস্থ হয়ে উঠুন।
ফাইবারজাতীয় ফল খান: পেয়ারা, পাকা পেঁপের পুষ্টিগুণ প্রচুর। এগুলো খুব বেশি দামি ফলও না। এসব ফল শরীর থেকে সমস্ত টক্সিন বের করে দেয়, ত্বক আর চুল ঝলমলে রাখে। হয় নানারকম ফল মিশিয়ে ফ্রুট সালাদ খান, অথবা প্রতিদিন যেকোনো একটা ফল খান। উল্টোপাল্টা খাওয়ার প্রবণতা কমবে, বাড়তি শক্তিও পাবেন।
চাই মনের ডিটক্স: সারাক্ষণ বাড়িতে থেকে মনে যে বাড়তি চাপ পড়েছে তা দূর করতে হবে। সারাক্ষণ পত্রিকা বা সোশ্যাল মিডিয়ায় করোনা সংক্রান্ত খবর খুঁজবেন না। খবর অবশ্যই রাখবেন, কিন্তু সেটাই যেন আপনার একমাত্র কাজ না হয়। পাশাপাশি ভালো বই পড়ুন, গান শুনুন, সিনেমা দেখুন। মনটাকে উড়তে দিন নিজের মতো। দেখবেন অনেক হালকা লাগছে।