পর্দার পিছনে পোশাক বদলাতে বাধ্য করা হয় কণিকাকে!
কোভিড ১৯-এ আক্রান্ত হওয়ার পর থেকেই অনবরত সোস্যাল মিডিয়ায় ট্রোলিং শিকার হয়েছেন গায়িকা কণিকা কাপুর। প্রথমে লন্ডন থেকে ফিরেই কোয়ারেন্টিনে না থাকার জন্য সমালোচিত হন তিনি। আর তার পরে হাসপাতালে তারকা সুলভ মেজাজ দেখানোর অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে।
ইন্ডিয়া টুডের কাছে সাক্ষাৎকারে এইবার মুখ খুললেন কণিকার পরিবার। সঞ্জয় গান্ধী মেডিকেল ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন তিনি। সেই হাসপাতাল থেকেই তারকা সুলভ আচরণের অভিযোগ ওঠে গায়িকার বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তার পরিবার।
কণিকার পরিবারের পাল্টা অভিযোগ, হাসপাতালের ঘরে একটা পর্দার পিছনে পোশাক পাল্টে তাকে গাউন পরতে বলা হয়েছিল। কণিকা বিষয়টিতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেননি। কোয়ারেন্টাইন ওয়ার্ডেও অপরিচ্ছন্নতা লক্ষ্য করেছিলেন তিনি। আর তাই হাসপাতালের স্টাফকে পরিষ্কার করে দিতে বলেন তিনি।
এর আগে টাইমস অফ ইন্ডিয়ার কাছে কণিকা জানিয়েছিলেন, তাকে ঠিক মতো খেতে দেওয়া হচ্ছে না। একটা ছোট পানির বোতল, দুটো কলা আর একটি কমলালেবু দেওয়া হয়েছে। তাতেও নাকি মাছি ছিল।
কণিকা বলেছিলেন, চিকিৎসকরা যখন এসেছিলেন আমি ঘরটা পরিষ্কার করে দিতে বলেছিলাম। তখন ওরা বলেছিলেন, এটা ফাইভ স্টার হোটেল নয়। ওরা বলেছিলেন যে তথ্য লুকনোর জন্য আমার বিরুদ্ধে এফআইআর করতে চলেছে কর্তৃপক্ষ। এরকম হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এই অভিযোগ অস্বীকার করে। সেখান থেকে বলা হয়, হাসপাতালে কণিকা কাপুরকে সবচেয়ে ভালো পরিষেবা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। তারকা সুলভ মেজাজ না দেখিয়ে একজন রোগীর মতোই তার সহযোগিতা করা উচিত।
প্রসঙ্গত, কণিকার পঞ্চম রিপোর্টেও পজিটিভ কোভিড ১৯ এসেছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন রিপোর্ট পজিটিভ এলেও। এখন কণিকা আগের থেকে অনেকটাই ভালো আছেন। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, যতদিন না তার দুটো রিপোর্ট নেগেটিভ আসবে ততদিন চিকিৎসা চলবে।