অনির্দিষ্টকালের দূরত্বে মনের মানুষ

0

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে কোনো নির্দিষ্ট দেশ নয়, পুরো পৃথিবীই এখন লকডাউন। এমন পরিস্থিতি পরিবারের সঙ্গে বেশি সময় কাটানোর সুযোগ তৈরি করে দিলেও প্রেমিক-প্রেমিকাদের জন্য অসহনীয় হয়ে উঠেছে। বলা যায়, পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই প্রেমের সম্পর্কগুলো এখন একই ধরনের সময় পাড়ি দিচ্ছে। মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএনের অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে বিভিন্ন দেশের কয়েকটি জুটির মনের কথা। লিখেছেন পরাগ মাঝি

একই শহরে, তবু…

প্রেমিকের সঙ্গে হ্যানি অ্যানসেলের সম্পর্কটা বহু দিনের পুরনো। যদিও তারা এই মুহূর্তে কয়েক মাইল দূরত্বে বসবাস করছেন। আর সময়ের নিরিখে এই দূরত্বটা অন্তত এক মাসের বলা যায়। কারণ নিউজিল্যান্ড এখন কার্যত লকড ডাউন।

হ্যানসেল ও তার প্রেমিক মাইকেল ব্রায়ান একই শহরে থাকেন। নিউজিল্যান্ডের রাজধানী ওয়েলিংটনেই তাদের বসবাস। এখন তো বটেই, আগামী চার সপ্তাহ তারা একে অপরের সঙ্গে সামনাসামনি দেখা করতে পারবেন না। কভিড-১৯ ভাইরাসটির সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় লকডাউন করে দেওয়া হয়েছে পুরো নিউজিল্যান্ড।

২৫ বছরের তরুণী অ্যানসেল বলেন, ‘শুরুতে এই পদক্ষেপটি আমরা বুঝতে পারছিলাম না। ভাবছিলাম, সবকিছু ঠিকই থাকবে। আমরাও দেখা করতে পারব সপ্তাহে অন্তত এক কিংবা দুবার। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল, পরিস্থিতি ঘোলাটে। আমাদের দেখা করার সুযোগ নেই বললেই চলে।’

ব্রায়ান অবশ্য লকডাউনের সময়টিতে তার ফ্ল্যাটেই একসঙ্গে কাটানোর প্রস্তাব দিয়েছিল হ্যানসেলকে। পাঁচ বছরের সম্পর্ক তাদের। কিন্তু এ ক্ষেত্রে সমস্যা হলো ব্রায়ানের রুমমেটের প্রেমিকাও তত দিনে ওই ফ্ল্যাটে এসে অবস্থান নিয়েছে। ফলে ছোট্ট ফ্ল্যাটে মানুষের গাদাগাদি এড়াতে তারা আলাদা থাকারই সিদ্ধান্ত নেন। তারা দুজনই স্থানীয় একটি পিৎজা চেইনে কাজ করেন। আর অবসর সময়ে চুটিয়ে প্রেম করেন, ঘুরে বেড়ান কাছে কিংবা দূরের কোনো নিসর্গে।

মাত্র পাঁচ মাইল দূরত্বে অবস্থান করে দেখা-সাক্ষাতের বদলে এখন কেবল চ্যাটিং ও মেসেজ আদান-প্রদানের মাধ্যমে একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন ব্রায়ান-হ্যানসেন জুটি। সকাল-বিকেল ‘গুডমর্নিং’ আর ‘গুডনাইট’ই শুধু নয়, সারা দিনের ছোট ছোট নানা অনুভূতিও তারা এখন খুদেবার্তার মাধ্যমে শেয়ার করছেন। এই যোগাযোগের মাধ্যমে আলাদা বাড়িতে থেকেও তারা একই সময়ে খাচ্ছেন, ঘুমোচ্ছেন, গোসল করছেন, নেটফ্লিক্সে সিনেমা দেখছেন।

অ্যানসেল বলেন, ‘খুব দেখা করতে ইচ্ছা করে। কিন্তু এটা তো এখন সম্ভব নয়। আমরা শুধু আশা করছি, শিগগির আমাদের দেখা হবে, জড়িয়ে ধরব একে অপরকে। কিন্তু এ মুহূর্তে এটি করতে গিয়ে দেশের সিদ্ধান্ত অমান্য না করাই উচিত।’

কাছে দূরে…

এই গল্পটি যুক্তরাজ্যের। ৩০ মার্চ নিজেদের সম্পর্কের এক বছর পূর্তি উদ্যাপন করার কথা ছিল ২১ বছর বয়সী জেমস মার্শ ও তার প্রেমিকা কিয়েরা লিপারের। কিন্তু এর বদলে এখন তারা লকডাউনে বিচ্ছিন্ন অবস্থায় সময় পাড়ি দিচ্ছেন।

মার্শ ও লিপার জুটির পরিচয় ঘটেছিল ইউনিভার্সিটি অব লিডসে। তারা দুজনই সেখানে পড়েন। সম্পর্কের এক বছর পূর্তি নিয়ে তাদের বেশ কিছু পরিকল্পনা থাকলেও শেষ পর্যন্ত তা ভেস্তে গেছে লকডাউনের কবলে পড়ে। দেশ লকডাউন হওয়ার আগে আগে তারা সর্বশেষ দেখা করেছিলেন। এ সময় লিপারের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে দেশের প্রায় অন্য প্রান্তে নিজের বাড়িতে আপাতকালের জন্য চলে যান মার্শ। তিন সপ্তাহ ধরেই যুক্তরাজ্যে এই লকডাউন চলছে।

মার্শ বলেন, ‘সাধারণত প্রতিদিনই আমাদের দেখা হতো। কত দিন, কত সময় আমরা একসঙ্গে কাটিয়েছি! কিন্তু হঠাৎ করেই জীবনে একটি বড় পরিবর্তন চলে এলো। যখন থেকে আমাদের প্রেমের সম্পর্ক শুরু হলো তার পর থেকে এই প্রথম দীর্ঘ সময় আমরা একে অপরকে না দেখে আছি।’

তবে, সামনা-সামনি দেখা না হলেও একে অপরকে দেখার বিকল্প আরেকটি উপায় বেছে নিয়েছেন তারা। এ ক্ষেত্রে ‘ফেসটাইম’ অ্যাপে ভিডিওকলের মাধ্যমে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছেন। ফেসটাইমে হাউজ পার্টির মাধ্যমে তারা তাদের বন্ধুদের সঙ্গেও যোগাযোগ রক্ষা করছেন। নিজ নিজ বাড়িতে ব্যস্ত সময় কাটানোর চেষ্টা করছেন তারা। মার্শ তার কোর্সের পড়াশোনা নিয়েই পড়ে আছেন, আর লিপার কিছুদিন ধরে নিয়মিত শরীরচর্চা করছেন।

তিন বছরের আন্ডার গ্র্যাজুয়েট ডিগ্রি লাভের শেষ সেমিস্টারে আছেন মার্শ এবং তার বন্ধুরা। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি, তারা এই ডিগ্রি অর্জনকে একসঙ্গে উদ্যাপন করতে পারছেন না। মার্শ বলেন, ‘তিন বছর শেষে করোনাভাইরাসের দুঃস্বপ্ন এখন আমাদের সঙ্গী।’

আর প্রেমিকার সঙ্গে দেখা না হওয়ার আক্ষেপ নিয়ে মার্শের বক্তব্য হলো ‘প্রযুক্তি আমাদের কাছাকাছিই রেখেছে, তবু তা সামনাসামনি দেখা হওয়ার মতো জোরালো নয়।’

এ ধরনের সাময়িক বিচ্ছেদ সম্পর্ককে আরও জোরালো করতে সহায়তা করে বলেও মত দিয়েছেন মার্শ। তিনি বলেন, ‘এ ধরনের বৈশ্বিক বিপদকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মোকাবিলা করতে হবে। কারণ এমন পরিস্থিতি নিয়ে দীর্ঘ সময় অতিক্রম আদতে সম্ভব নয়।’

প্রেম যখন গোপন…

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হেমাঙ্গী (ছদ্মনাম) দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। তিনি তার প্রেমিকের কণ্ঠস্বরটাও শুনতে পারছেন না আজ প্রায় ১০ দিন হলো। কারণ তিনি তার বাবা-মায়ের সঙ্গে ভারতের রাজধানী দিল্লির একটি এলাকায় বসবাস করছেন। কয়েক মাস ধরেই প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছেন তিনি। ভারতীয় সংস্কৃতিতে এ ধরনের সম্পর্ক সাধারণত পরিবারের কাছ থেকে গোপন রাখে প্রেমিক-প্রেমিকারা।

গত ২৪ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পুরো দেশকে ২১ দিনের জন্য লকডাউন ঘোষণা করেন। দেশটির প্রায় ১৩০ কোটি মানুষ এখন নিজ নিজ বাসস্থানেই অবস্থান করছেন। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া নাগরিকদের বাড়ির বাইরে বের হওয়া নিষিদ্ধ। বন্ধ হয়ে গেছে পাবলিক ট্রান্সপোর্টগুলো। তাই দিল্লির অপর প্রান্তে বসবাস করা প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করার জন্য যেতে পারছেন না হেমাঙ্গী। আর যেহেতু সারাক্ষণই বাসায় থাকতে হচ্ছে, ফলে প্রেমিককে ফোন করতেও পারছেন না। কারণ ফোনে কথা বললে গোপন প্রেমের কথা জেনে যেতে পারেন তার মা-বাবা।

হেমাঙ্গী বলেন, ‘আমি এখন পড়াশোনা করছি। তাই আমি এতটা স্বাধীন নই যে, নিজের জীবন নিজের মতো করে চালাব। একসময় আমি স্বাধীন হয়ে যাব। তখন এ ধরনের ঝুঁকি নেওয়া আমার জন্য কোনো ব্যাপারই না।’

তিনি আরও বলেন, ‘যত দিন না আমি আমার পরিবার থেকে বাইরে বের হতে পারছি, তত দিন প্রেমিকের সঙ্গে আমি প্রকাশ্যে দেখা করতে পারছি না। আর এ মুহূর্তে তার সঙ্গে দেখা করা সত্যিই খুব কঠিন।’

দেখা কিংবা ফোনে কথা বলতে না পারলেও হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে সারা দিনই যোগাযোগের মধ্যেই আছেন ভারতীয় এই প্রেমিক জুটি। সামনের কয়েক সপ্তাহ তাদের এভাবেই যোগাযোগ করতে হবে। প্রেমের সম্পর্ক হওয়ার পর থেকেই তাদের নিয়মিত দেখা হতো। কিন্তু বাস্তবতা এখন সম্পূর্ণ ভিন্ন। প্রেমিকের সঙ্গে হেমাঙ্গীর সর্বশেষ দেখা হয়েছে আরও দুই সপ্তাহ আগে। তখনো করোনাভাইরাস নিয়ে এত আতঙ্ক ছিল না। তারা জানতেন না, সামনের দিনগুলোতে তাদের জন্য এমন পরিস্থিতি অপেক্ষা করছে। মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএনকেও নিজের এসব কথা মেসেজের মাধ্যমেই জানিয়েছেন হেমাঙ্গী।

প্রেমিকের সঙ্গে সাময়িক বিচ্ছেদ মেনে নিতে খুব কষ্ট হচ্ছে হেমাঙ্গীর। কিন্তু এটা মেনে নেওয়া ছাড়া আর কোনো পথ খোলা নেই। তার ভাষায়, ‘আমার জীবনে এমন অসহায় সময় আমি আর কখনোই পাড়ি দিইনি।’

অনিশ্চিত সময়ের প্রেম

৩০ বছর বয়সী ইসোবেল উইংয়ের কাছে এপ্রিল মাসটি ছিল বহু প্রতীক্ষার। তিনি যার সঙ্গে প্রেম করেন, সেই প্রেমিক থাকেন বহু দূরে। চলতি বছরে জানুয়ারির মাঝামাঝি সময় থেকে হাঙ্গেরির বুদাপেস্টে ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট হিসেবে কাজ করছেন ইসোবেল। কবে আসবে এপ্রিল মাস, সেই অপেক্ষায় যেন তার দিনই ফুরোচ্ছিল না। কারণ এই মাসটিতেই প্রেমিকের সঙ্গে তার দেখা হওয়ার কথা ছিল। এমনটি হলে প্রায় দুই বছর পর তাদের দেখা হতো। তার প্রেমিক স্যাম স্মুথি একজন পেশাদার স্কিয়ার। কয়েক মাস ধরেই তিনি যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন। কথা ছিল, এপ্রিলে তিনি হাঙ্গেরি এসে কিছুদিন ছুটি কাটাবেন। কিন্তু সব পরিকল্পনাই শেষ করে দিল করোনাভাইরাস।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবিলার জন্য গত ১১ মার্চ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউরোপের কোন দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্র প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। এতে অবশ্য স্মুথির কোনো সমস্যা ছিল না। কারণ যুক্তরাষ্ট্র থেকে ইউরোপে যাওয়ার কথা ছিল তার। কিন্তু দিন-কয়েকের মধ্যেই বিদেশিদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করে সীমান্ত বন্ধ করে দেয় হাঙ্গেরি। এর ফলে এপ্রিলে হাঙ্গেরি ভ্রমণের আর কোনো সুযোগ নেই স্মুথির। ফলে প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করার আশা জলাঞ্জলি দিয়ে হাঙ্গেরির পরিবর্তে নিউজিল্যান্ডে পাড়ি জমান তিনি। সেখানে তার প্রেমিকা ইসোবেল উইংয়ের পরিবারের একটি অবকাশযাপনের বাসস্থান রয়েছে। সেই বাড়িতেই এখন সেলফ আইসোলেশনে নিঃসঙ্গ সময় কাটাচ্ছেন স্মুথি। আর কাজের ব্যস্ততায় হাঙ্গেরির বুদাপেস্টেই অবস্থান করছেন ইসোবেল। বুদাপেস্টে নিজের অ্যাপার্টমেন্ট থেকেই তিনি তার দায়িত্ব পালন করছেন। মাঝেমধ্যে শরীরচর্চা করার জন্য পাহাড়ি পথ আর দানিয়ুব নদীর তীরঘেঁষে জগিং করতে বের হন তিনি।

অনিশ্চিত সময়ের শেষে কবে দেখা হবে, তা জানেন না এই জুটি। ইসোবেল বলেন, ‘যেহেতু দূরত্ব বেশি, তাই দেখা না হওয়াটা এ ধরনের সম্পর্কের ক্ষেত্রে খুব স্বাভাবিক। তবে, কীভাবে আমরা আমাদের ব্যবধান ঘোচাতে পারি, তার নানা জটিল অঙ্ক কষে বেড়াচ্ছি।’

আলাদা থাকেননি যারা

প্রায় তিন বছর ধরে মনের মানুষের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধার পরিকল্পনা করেছেন ৩২ বছর বয়সী আনিকা। কিন্তু বরাবরই নানা ঝামেলায় এই শুভ কাজটি আর করা হয়ে উঠছে না। যদিও শেষ পর্যন্ত তারা এ ব্যাপারে স্থির সিদ্ধান্তে আসতে সক্ষম হন। এই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কথা ছিল তারা তাদের বিয়ে রেজিস্ট্রি করবেন ২০ মার্চ। পরে ১০ এপ্রিল প্রায় ৪০০ অতিথির সমাগমে একটি পার্টির আয়োজন করবেন এবং ১২ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে বিয়ের রিসেপশন। কিন্তু দিল্লির এই প্রেমিক জুটির সামনে আবার বাধা হয়ে দাঁড়াল করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব।

বর্তমান বৈশ্বিক মহামারী পরিস্থিতিতে ভারতের সরকার বেশ কিছু সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। ফলে নিজেদের বিয়ে নিয়ে খুবই দুশ্চিন্তার মধ্যে পড়ে যান আনিকা ও তার হবু বর। এ অবস্থায় বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে ‘প্ল্যান-বি’ নিয়ে অগ্রসর হন তারা। দেশের পরিস্থিতি বদলে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের বিয়ের পরিকল্পনায় নানা সংযোজন-বিয়োজন করতে হচ্ছিল। তবে ২০ মার্চ বিয়ে নথিভুক্ত করতে তারা অনড় থাকেন। পরিকল্পনা করা হয়, বিয়ে রেজিস্ট্রি করার পর তারা সীমিত পরিসরে একটি পার্টি দেবেন।

আনিকা বলেন, ‘এটি সামলাতে গিয়ে আমাদের খুব করুণ দশা হয়।’ সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য অতিথি তালিকা শেষ পর্যন্ত ৩০ জনে সীমাবদ্ধ করতে বাধ্য হয়েছেন তারা। এ ক্ষেত্রে আগে নিমন্ত্রণ করা পরিচিত অনেক মানুষকেই শেষ মুহূর্তে গিয়ে অনুষ্ঠানে যোগদান না করার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে। অনেকের কাছেই ক্ষমা চাইতে হয়েছে।

নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই বিয়ের অনুষ্ঠানটি সম্পন্ন করেন তারা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘হ্যাশট্যাগ লাভইনকরোনা’ লিখে বিয়ের ছবিও পোস্ট করেন। আনিকা বলেন, ‘মাঝেমধ্যে এটাই নিয়তি। কখনো কখনো আপনি খুব বিরক্ত হবেন, আশাহত হবেন। কিন্তু সে সময়টা একসময় অতীত হয়ে যাবে। আমরাও এখন ভালো আছি।’

করোনাভাইরাসের সংক্রমণের মধ্যেও বিয়েটি সম্পন্ন করা ছাড়া আর কোনো উপায় ছিল না তাদের। কারণ এমন পরিস্থিতিতে তারা একে অপরকে সহযোগিতা করতে চাইছিলেন। আর ভারতীয় রীতি অনুযায়ী, বিয়ে করার আগে একত্রে বসবাস করাকে অনৈতিক মনে করা হয়। তাই লকডাউনের মধ্যেই ঝুঁকি নিয়ে বিয়ে করাটাকেই যুক্তিযুক্ত মনে করছেন এই জুটি।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com