যে কারণে সবার মাস্ক পরা উচিত
সবার মাস্ক পরার পয়োজন নেই- এমন একটি মতবাদ প্রায় সব দেশেই আছে। চিকিৎসকদের অনেকেও এ মত দিয়ে থাকেন। তারা বলে থাকেন, যারা রোগীর সেবা দেবেন এবং যিনি রোগী, শুধু তাদের মাস্ক পরা উচিত।
এর ব্যাখা হিসেবে তার এও বলেন, কভিড-১৯ ভাইরাসের যে জীবাণু তা প্রচলিত মাস্ক ঠেকিয়ে রাখতে পারে না। তা ছাড়া সবাই মাস্ক পরলে এতে করে মাস্ক সরবরাহে ঘাটতি দেখা দিতে পারে- এমন যুক্তিও দিয়ে থাকেন অনেকে।
যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিস কন্ট্রোল জানাচ্ছে, এন৯৫ মাস্ক সবচেয়ে বেশি জীবাণু থেকে সুরক্ষা দিতে পারে। সার্জিক্যাল মাস্ক তারচেয়ে কম সুরক্ষা দেয়। তবে এন৯৫ মাস্ক পরারও নিয়ম আছে, যা কেবল অভিজ্ঞরাই জানেন। যে কারণে তারাও সবার মাস্ক পরার পক্ষে নন।
তবে যুক্তরাষ্টের ইনস্টিটিউট অব সিস্টেম বায়োলজির সুই হং এর বিরোধিতা করছেন। তিনি বলছেন সবাইকে মাস্ক পরতে না বলার যথার্থ বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নাই।
এর যুক্তি হিসাবে তিনি বলেন, যদি করোনায় আক্রান্তের সংখা নামিয়ে আনতে হয় তাহলে মাস্ক পরা সবার জন্যই দরকার। সবাই মাস্ক পরলে সুরক্ষা পাওয়ার প্রমাণ নেই বলার অর্থ এই নয় যে এটা কোনো কাজেই আসবে না। তিনি মাস্কের উৎপাদন মাথায় রেখে তা পরতে নিষেধ করার পক্ষে নন।
হং তার ব্যাখ্যায় নেদারল্যান্ডস এর তিন ধরনের মাস্ক এর উদাহরণ দেন। যার একটি ঘরে তৈরি সুতার মাস্ক, অপরটি সার্জিক্যাল মাস্ক এবং তৃতীয়টি এন৯৫ মাস্ক। হং বলেন, হাঁচি বা কাশির মাধ্যমে বিভিন্ন আকারেরর ও বেগের জীবাণু বাতাসে বের হয়ে আসে তা থেকে রক্ষা পেতে সবসময় ৬ মিটার দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব নয়। তখন সাধারণ সার্জিক্যাল মাস্ক কাজে আসে। যা বিভিন্ন আকারের জীবাণূকে প্রতিহত করতে সক্ষম।
তিনি বিভিন্ন জীব বৈজ্ঞিানিক ব্যাখ্যা তুলে ধরে সার্স ও কভিড-১৯ ভাইরাসের পার্থক্য তুলে ধরেন। তার মতে, মাস্ক পরলে এসব ভাইরাস সরাসরি গিয়ে ফুসফুসের অনেক ভেতরে যেতে পারে না।
তিনি এমনকি সাধারণ কিছু দিয়ে নাক-মুখ ঢেকে রাখাকেও সামান্য প্র্রতিরোধ হিসেবে বিবেচনা করেছেন।